পরীক্ষামূলক প্রকাশনা | ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত আগুনে পুড়ল উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪ শতাধিক ঘর, নিহত ২ জালালাবাদ এসোসিয়েশন ফ্রান্সের কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত প্যারিসে ‘বিজয়ের ৫৪ বছরে বাংলাদেশ : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা শেখ হাসিনার ফেরাতে দিল্লিকে ঢাকার চিঠি আমাদের প্রিয় শিক্ষক শহীদ স্যার ও জুহেদ স্যার: এক স্মৃতিময় যাত্রা স্মার্টফোনের অবস্থান গোপন রাখবে যে অ্যাপ লাল-সবুজের রঙে সাজলো পোল্যান্ডের স্লাসকো সেতু আজ প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ওয়েলস বাংলাদেশ কমিউনিটির মহান বিজয় দিবস উদযাপন

ফ্রিদা কাহলো এবং অক্টাভিও : ছিল ভালোবাসা ও বিশ্বাসঘাতকতার সমান উপস্থিতি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম চৌধুরী : সমৃদ্ধ সংস্কৃতির দেশ মেক্সিকো। মানুষের সৌজন্য,নগর জনপদে আচার আচরণ দেখলেই টের পাওয়া যায়।আমেরিকানরা মেক্সিকোকে যেভাবে দেখে থাকে,বাস্তবতার ফারাক বিরাট। প্রশান্ত, আটলান্টিক এবং ক্যারিবীয় মহাসাগর মিলে মেক্সিকো। সাহিত্য, সংস্কৃতি, চিত্রকলার অসাধারণ ঐতিহ্য, খাদ্য, এবং প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য।

ফ্রিদা কাহলো এবং অক্টাভিও পাজ বিশ্বের সাহিত্য সংস্কৃতি ও মননশীল মানুষের কাছে আজও নমস্য। ফ্রিদা কাহলোর বিখ্যাত উক্তি “I paint myself because I am so often alone and because I am the subject I know best.” মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফ্রিদা একটি মারাত্মক বাস দুর্ঘটনার শিকার হন। এই দুর্ঘটনার ফলে তাঁর মেরুদণ্ড, পা, এবং পেলভিসে গুরুতর আঘাত লাগে। দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকার সময় তিনি চিত্রাঙ্কন শুরু করেন। ফ্রিদা বিখ্যাত মেক্সিকান মুরালিস্ট ডিয়েগো রিভেরাকে বিয়ে করেন। তাঁদের সম্পর্ক ছিল খুবই তীব্র এবং জটিল। ছিল ভালোবাসা ও বিশ্বাসঘাতকতার সমান উপস্থিতি। ব্যক্তিগত কষ্টকে রাজনৈতিক বিশ্বাসের সঙ্গে মিশিয়ে শিল্পকে একটি প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন ফ্রিদা কাহলো। নারীর অভিজ্ঞতা, দুঃখ, এবং শারীরিক ও মানসিক সংগ্রামকে গভীরভাবে তুলে ধরেছেন তাঁর শিল্পকর্মে। শুধু শিল্প বোদ্ধাদের কাছে নয়, নারীর শক্তি, শারীরিক এবং মানসিক সংগ্রামের প্রতীক হিসেবেও ফ্রিদা কাহলোকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
ফ্রিদা কাহলো মিউজিয়াম। দীর্ঘ লাইন পড়ে। আগে থেকে অনলাইনে টিকেট করে নেয়াই উত্তম।স্থানীয় মুদ্রায় সাড়ে ৩শ পেসো।
বিশ্বের চিত্র পিপাসুদের হামলে পড়া দেখি।
বোদ্ধার মতো গম্ভীর হয়ে ফ্রিদাকে ধাতস্থ করার ভান করি।
( দাদাকেই বোঝো নাই ঠিকমতো,আবার ফ্রিদা!- সাথে থাকা একজন টিপ্পনি কাটলেন!)
আমাদের প্রজন্মের কাছে মেক্সিকান কবি অক্টাভিও পাজ ব্যাপক পরিচিত। আধুনিক মেক্সিকোর বোদ্ধাদের মধ্যেও পাজ খুবই সমাদৃত। তাঁকে নিয়ে নিত্য দিন হচ্ছে অনুষ্ঠান।

১৯৯০ সালে অক্টাভিও পাজ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। মেক্সিকান ডিপ্লোম্যাট হিসেবে ঘুরেছেন নানান দেশে। ১৯৬২ সালে ভারতেও ছিলেন মেক্সিকান এ বরেণ্য কবি ও ডিপ্লোম্যাট। তাঁর কবিতায় প্রেম ভালোবাসার সাথে বারবার এসেছে মার্ক্সিজ়ম ও পরাবাস্তববাদের ছোঁয়া, প্রবহমান সময়ের কাহিনি। একইসঙ্গে তিনি পশ্চিমা আধুনিকতাবাদ এবং প্রাচ্য দর্শনের মিশ্রণ ঘটিয়ে এক অনন্য সাহিত্যধারা তৈরি করেছেন। পাজ পশ্চিমা আধুনিকতাবাদ, ভারতীয় দর্শন, এবং জৈন ও বৌদ্ধধর্মের মতো বিভিন্ন সংস্কৃতি ও দর্শনের ধারণাকে তাঁর সাহিত্য কর্মে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
More than air
More than water
More than lips
Light light
Your body is the trace of your body – (Passage) অক্টাভিও পাজের একটি কবিতা।
– মেক্সিকান তরুণীকে আকৃষ্ট করার জন্য পাজের কবিতা আওড়াচ্ছিলেন একজন!

ট্যাগস :

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ফ্রিদা কাহলো এবং অক্টাভিও : ছিল ভালোবাসা ও বিশ্বাসঘাতকতার সমান উপস্থিতি

আপডেট সময় ০২:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

ইব্রাহীম চৌধুরী : সমৃদ্ধ সংস্কৃতির দেশ মেক্সিকো। মানুষের সৌজন্য,নগর জনপদে আচার আচরণ দেখলেই টের পাওয়া যায়।আমেরিকানরা মেক্সিকোকে যেভাবে দেখে থাকে,বাস্তবতার ফারাক বিরাট। প্রশান্ত, আটলান্টিক এবং ক্যারিবীয় মহাসাগর মিলে মেক্সিকো। সাহিত্য, সংস্কৃতি, চিত্রকলার অসাধারণ ঐতিহ্য, খাদ্য, এবং প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য।

ফ্রিদা কাহলো এবং অক্টাভিও পাজ বিশ্বের সাহিত্য সংস্কৃতি ও মননশীল মানুষের কাছে আজও নমস্য। ফ্রিদা কাহলোর বিখ্যাত উক্তি “I paint myself because I am so often alone and because I am the subject I know best.” মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফ্রিদা একটি মারাত্মক বাস দুর্ঘটনার শিকার হন। এই দুর্ঘটনার ফলে তাঁর মেরুদণ্ড, পা, এবং পেলভিসে গুরুতর আঘাত লাগে। দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকার সময় তিনি চিত্রাঙ্কন শুরু করেন। ফ্রিদা বিখ্যাত মেক্সিকান মুরালিস্ট ডিয়েগো রিভেরাকে বিয়ে করেন। তাঁদের সম্পর্ক ছিল খুবই তীব্র এবং জটিল। ছিল ভালোবাসা ও বিশ্বাসঘাতকতার সমান উপস্থিতি। ব্যক্তিগত কষ্টকে রাজনৈতিক বিশ্বাসের সঙ্গে মিশিয়ে শিল্পকে একটি প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন ফ্রিদা কাহলো। নারীর অভিজ্ঞতা, দুঃখ, এবং শারীরিক ও মানসিক সংগ্রামকে গভীরভাবে তুলে ধরেছেন তাঁর শিল্পকর্মে। শুধু শিল্প বোদ্ধাদের কাছে নয়, নারীর শক্তি, শারীরিক এবং মানসিক সংগ্রামের প্রতীক হিসেবেও ফ্রিদা কাহলোকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
ফ্রিদা কাহলো মিউজিয়াম। দীর্ঘ লাইন পড়ে। আগে থেকে অনলাইনে টিকেট করে নেয়াই উত্তম।স্থানীয় মুদ্রায় সাড়ে ৩শ পেসো।
বিশ্বের চিত্র পিপাসুদের হামলে পড়া দেখি।
বোদ্ধার মতো গম্ভীর হয়ে ফ্রিদাকে ধাতস্থ করার ভান করি।
( দাদাকেই বোঝো নাই ঠিকমতো,আবার ফ্রিদা!- সাথে থাকা একজন টিপ্পনি কাটলেন!)
আমাদের প্রজন্মের কাছে মেক্সিকান কবি অক্টাভিও পাজ ব্যাপক পরিচিত। আধুনিক মেক্সিকোর বোদ্ধাদের মধ্যেও পাজ খুবই সমাদৃত। তাঁকে নিয়ে নিত্য দিন হচ্ছে অনুষ্ঠান।

১৯৯০ সালে অক্টাভিও পাজ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। মেক্সিকান ডিপ্লোম্যাট হিসেবে ঘুরেছেন নানান দেশে। ১৯৬২ সালে ভারতেও ছিলেন মেক্সিকান এ বরেণ্য কবি ও ডিপ্লোম্যাট। তাঁর কবিতায় প্রেম ভালোবাসার সাথে বারবার এসেছে মার্ক্সিজ়ম ও পরাবাস্তববাদের ছোঁয়া, প্রবহমান সময়ের কাহিনি। একইসঙ্গে তিনি পশ্চিমা আধুনিকতাবাদ এবং প্রাচ্য দর্শনের মিশ্রণ ঘটিয়ে এক অনন্য সাহিত্যধারা তৈরি করেছেন। পাজ পশ্চিমা আধুনিকতাবাদ, ভারতীয় দর্শন, এবং জৈন ও বৌদ্ধধর্মের মতো বিভিন্ন সংস্কৃতি ও দর্শনের ধারণাকে তাঁর সাহিত্য কর্মে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
More than air
More than water
More than lips
Light light
Your body is the trace of your body – (Passage) অক্টাভিও পাজের একটি কবিতা।
– মেক্সিকান তরুণীকে আকৃষ্ট করার জন্য পাজের কবিতা আওড়াচ্ছিলেন একজন!