পরীক্ষামূলক প্রকাশনা | ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ফ্রি মেডিক্যাল সেবা বংশালে অনুষ্ঠিত গোয়ালাবাজারে গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভেজা মাঠের কারণে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ টেস্টের টস বিলম্বিত ‘৩-৪ আগস্ট ভারতের দালালদের সঙ্গে বৈঠকের অভিযোগ’, যা বললেন আসিফ নজরুল কুয়ালালামপুরে ১১ বাংলাদেশিসহ আটক ৩২ অভিবাসী ইতালি নেদারল্যান্ডস কানাডায় পা রাখলেই গ্রেফতার নেতানিয়াহু মালয়েশিয়ায় নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারী উদ্ধার দুবাইয়ের গ্লোবাল ভিলেজে কেবল নামে আছে বাংলাদেশ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা থেকে মেজর হাফিজের অব্যাহতি মহাখালীতে শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেলে রক্তাক্ত ট্রেনযাত্রী

ভিন্ন মতে বিভক্তি নয় জাতীয় ঐক্য জরুরী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

সৈয়দ মছরুর আহমদ :: গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়। ৮ আগস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে। তারপর তিন ধাপে এই উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু কোনোবারই উপদেষ্টা নিয়োগে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। উপদেষ্টাদের নিয়োগ ও তাদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা।

গণতন্ত্রে ভিন্ন মত থাকাটাই স্বাভাবিক। ভিন্নমত প্রকাশের কারণে সরকারের সাথে কোন দল বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে সংকট তৈরি হয় সেটি নিরসনের জন্য প্রয়োজন সংলাপ। শুধু যে বসলাম আর উঠলাম তা নয়, এখানে পরস্পরের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন এবং যৌক্তিক পয়েন্টে একে অপরের অবস্থান থেকে ছাড় দেওয়াও বটে। প্রত্যেকেই যদি নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে তাহলে সেটা ফলপ্রসূ হবে না। ফলে আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হবে। এগুলো আমরা অতিতেও দেখেছি। সরকারের উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের মাধ্যমে তাদের কর্মপন্থা ঠিক করে নেওয়া। রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের অবস্থান থেকে এই সরকারের প্রতি নমনীয় ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করা উচিত। আমরা জানি রাষ্ট্র সংস্কার করতে গেলে এমন কিছু সংস্কার আছে যা রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় গেলে তা তারা করতে পারবেন না বা করবেন না। সেই ক্ষেত্রে এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ যে এই সরকারের মাধ্যমে ঐ সকল সংস্কারগুলো করে নেয়া। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হবে। সংস্কার বলতে শুধু বদলি আর অপসারণ নয়, এটা সম্পূর্ণ সিস্টেমের পরিবর্তন। যাতে করে কোন সরকার ইচ্ছা করলেই তাদের পছন্দমত লোক পছন্দমত স্থানে পদায়ণ করতে না পারে। তার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা থাকবে, কিছু শর্ত থাকবে। যদি আগের মতই সিস্টেম থেকে যায় তবে আবারও জন্মনিবে নতুন কোন ফ্যাসিবাদ। যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনটা জনগণের ভোটের মাধ্যমে না হয় এবং রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য না থাকে তাহলে কোন সংস্কারই কাজে আসবে না। তাই আমাদের গতানুগতিক রাজনৈতিক কৌশল ছেড়ে নতুন ধারার রাজনীতির পথে হাঁটা উচিত।

কেউ বলে জনগণ এটা চায়, কেউ বলে চায় না। আসলে জনগণ কি চায়? তা জানতে হলে আমাদের জন-সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। ছাত্ররা বলে “ছাত্র-জনতা” কিন্তু তাদের মাঝে এখন জনতা তো আর দেখিনা। জনগণের প্রতিনিধিত্ব কই? ছাত্ররা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে কেন? সরকারের সাথে যা বসে নিষ্পত্তি করা যায় তা নিয়ে রাজপথে কেন? সরকার এবং ছাত্রদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা কেন? জনগণের বার্তা সরকারের কাছে পৌঁছে দিবে কে?

সরকারের প্রতি আমাদের আহবান স্বচ্ছতা নিয়ে আসুন। আমরা আর অন্ধকারে থাকতে চাই না। আমরা চাই আমাদের সরকার কি করছে তা আমরা অবগত থাকবো।

ট্যাগস :

জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ফ্রি মেডিক্যাল সেবা বংশালে অনুষ্ঠিত

ভিন্ন মতে বিভক্তি নয় জাতীয় ঐক্য জরুরী

আপডেট সময় ০৭:২৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

সৈয়দ মছরুর আহমদ :: গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়। ৮ আগস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে। তারপর তিন ধাপে এই উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু কোনোবারই উপদেষ্টা নিয়োগে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। উপদেষ্টাদের নিয়োগ ও তাদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা।

গণতন্ত্রে ভিন্ন মত থাকাটাই স্বাভাবিক। ভিন্নমত প্রকাশের কারণে সরকারের সাথে কোন দল বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে সংকট তৈরি হয় সেটি নিরসনের জন্য প্রয়োজন সংলাপ। শুধু যে বসলাম আর উঠলাম তা নয়, এখানে পরস্পরের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন এবং যৌক্তিক পয়েন্টে একে অপরের অবস্থান থেকে ছাড় দেওয়াও বটে। প্রত্যেকেই যদি নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে তাহলে সেটা ফলপ্রসূ হবে না। ফলে আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হবে। এগুলো আমরা অতিতেও দেখেছি। সরকারের উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের মাধ্যমে তাদের কর্মপন্থা ঠিক করে নেওয়া। রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের অবস্থান থেকে এই সরকারের প্রতি নমনীয় ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করা উচিত। আমরা জানি রাষ্ট্র সংস্কার করতে গেলে এমন কিছু সংস্কার আছে যা রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় গেলে তা তারা করতে পারবেন না বা করবেন না। সেই ক্ষেত্রে এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ যে এই সরকারের মাধ্যমে ঐ সকল সংস্কারগুলো করে নেয়া। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হবে। সংস্কার বলতে শুধু বদলি আর অপসারণ নয়, এটা সম্পূর্ণ সিস্টেমের পরিবর্তন। যাতে করে কোন সরকার ইচ্ছা করলেই তাদের পছন্দমত লোক পছন্দমত স্থানে পদায়ণ করতে না পারে। তার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা থাকবে, কিছু শর্ত থাকবে। যদি আগের মতই সিস্টেম থেকে যায় তবে আবারও জন্মনিবে নতুন কোন ফ্যাসিবাদ। যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনটা জনগণের ভোটের মাধ্যমে না হয় এবং রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য না থাকে তাহলে কোন সংস্কারই কাজে আসবে না। তাই আমাদের গতানুগতিক রাজনৈতিক কৌশল ছেড়ে নতুন ধারার রাজনীতির পথে হাঁটা উচিত।

কেউ বলে জনগণ এটা চায়, কেউ বলে চায় না। আসলে জনগণ কি চায়? তা জানতে হলে আমাদের জন-সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। ছাত্ররা বলে “ছাত্র-জনতা” কিন্তু তাদের মাঝে এখন জনতা তো আর দেখিনা। জনগণের প্রতিনিধিত্ব কই? ছাত্ররা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে কেন? সরকারের সাথে যা বসে নিষ্পত্তি করা যায় তা নিয়ে রাজপথে কেন? সরকার এবং ছাত্রদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা কেন? জনগণের বার্তা সরকারের কাছে পৌঁছে দিবে কে?

সরকারের প্রতি আমাদের আহবান স্বচ্ছতা নিয়ে আসুন। আমরা আর অন্ধকারে থাকতে চাই না। আমরা চাই আমাদের সরকার কি করছে তা আমরা অবগত থাকবো।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464