ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কিশোর রবিউলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বুলবুলকে প্রধান আসামী করে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের মহাখালী ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে জিপের ধাক্কা, নিহত দুই ব্যবসায়ী সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার আসামির দোষ স্বীকার নানা অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আয়েবা’র মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ The Great Wave at Kanagawa ”,Katsushika Hokusai ভিক্ষার আসন নয়, নেতৃত্বের মঞ্চ চাই: নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়নের পথে বাংলাদেশ ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম ওসমানীনগরে যুবদল,স্বেচ্ছাসেবকদল ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অস্ট্রেলিয়াকেও ছাড় দেবেন না বাংলাদেশের কোচ ১১ মাসে পুলিশের বিরুদ্ধে ৭৬১ মামলা হয়েছে: টিআইবি

ভিক্ষার আসন নয়, নেতৃত্বের মঞ্চ চাই: নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়নের পথে বাংলাদেশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

শফিকুল হক :: বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন একটি দীর্ঘকালের আলোচ্য বিষয়। সংবিধান অনুযায়ী নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রথা চালু হয়েছিল, যা বর্তমানে ৫০টি আসনে উন্নীত হয়েছে। সম্প্রতি সেই সংখ্যা ১০০-এ উন্নীত করার প্রস্তাবও এসেছে। এই পদক্ষেপটি মূলত নারীর রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া হলেও বাস্তবতা হলো—এই সংরক্ষিত ব্যবস্থা নারীর নেতৃত্বগুণ, দক্ষতা, বা জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে নয়, বরং রাজনৈতিক আনুগত্যের বিনিময়ে পদায়নের একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

১. গণতন্ত্রের মৌল ভিত্তির পরিপন্থী: প্রতিনিধি কিন্তু জনগণের নয়
গণতন্ত্রের একটি মৌলিক নীতি হলো—নেতৃত্ব জনগণের ম্যান্ডেট থেকে আসবে। কিন্তু সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত নারী এমপিরা সরাসরি কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি নন। তাঁদের প্রতি জনগণের প্রত্যক্ষ চাহিদা, প্রত্যাশা বা জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হয় না। বরং তাঁরা নিয়োগপ্রাপ্ত হন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ইচ্ছা অনুযায়ী। এতে সাংসদ হিসেবে তাঁদের ভূমিকা হয়ে পড়ে দলকেন্দ্রিক, জনকেন্দ্রিক নয়।

যুক্তি: যে কোনও প্রতিনিধি যখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন, তখন তিনি নীতিনির্ধারণে সাহসী, স্বাধীন ও দায়বদ্ধ ভূমিকা রাখতে পারেন। অন্যদিকে, মনোনীত প্রতিনিধি প্রধানত দলীয় ভারসাম্য রক্ষা ও আনুগত্য প্রদর্শনেই সীমাবদ্ধ থাকেন।

২. অংশগ্রহণ ≠ ক্ষমতায়ন
সংরক্ষিত আসনে নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা মানেই নারীর ক্ষমতায়ন নয়। এটা শুধুমাত্র পরিসংখ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি হতে পারে, কিন্তু যদি সেই নারীরা সংসদে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ, সিদ্ধান্ত প্রস্তাব বা নীতিনির্ধারণ করতে না পারেন, তাহলে তা প্রকৃত অর্থে ক্ষমতায়ন নয়, “symbolic inclusion” মাত্র।

যুক্তি: বিশ্বব্যাপী গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন সফল হয় তখনই, যখন তাঁরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হন। সংরক্ষিত আসনের নারীরা বহু ক্ষেত্রেই কার্যত কোনো আইন প্রণয়ন বা গুরুত্বপূর্ণ পার্লামেন্টারি ডিবেটের অংশ হন না।

৩. রাষ্ট্রীয় অর্থব্যয়ের প্রশ্নে জবাবদিহিহীনতা
একজন সংসদ সদস্যের পেছনে সরকারকে মাসিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে বিশাল ব্যয় বহন করতে হয়—বেতন, ভাতা, অফিস, যাতায়াত, নিরাপত্তা, স্টাফ ইত্যাদি বাবদ। কিন্তু যেসব নারী সংসদ সদস্য কোনো জনসম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন না, কিংবা যাঁদের রাজনৈতিক ভূমিকা দলীয় সীমার বাইরে যায় না—তাঁদের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ।

যুক্তি: সংরক্ষিত নারী আসনগুলো যদি জনস্বার্থে বাস্তবিক পরিবর্তন না আনে, তাহলে এটি এক ধরনের Opportunity Cost—যেখানে একই সম্পদ দিয়ে আরও কার্যকর, জবাবদিহিমূলক ও গণমুখী নেতৃত্ব সৃষ্টি সম্ভব ছিল।

৪. রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ তৈরির পথ: সরাসরি নির্বাচন
সরাসরি নির্বাচন নারীর মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা, প্রস্তুতি ও জনসম্পৃক্ততার প্রবল উৎসাহ তৈরি করে। একজন নির্বাচিত নেত্রী জানেন, তাঁকে পরবর্তীবার ভোট পেতে হলে জনগণের সমস্যার সমাধানে কাজ করতে হবে। এতে তাঁরা আরও সংবেদনশীল, কর্মক্ষম এবং স্থানীয়-জাতীয় ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
যুক্তি: রাজনৈতিক নেত্রী গড়ে ওঠেন মাঠের রাজনীতি, কর্মসূচি, বিতর্ক ও জনসম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে। মনোনয়নভিত্তিক প্রক্রিয়া তাঁকে সে সুযোগ দেয় না। বরং তাঁকে বন্দী করে রাখে “দলনির্ভর অস্তিত্বে”।

৫. আন্তর্জাতিক দৃষ্টান্ত: টোকেন নয়, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন
ভারতের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে অনেক নারী জনপ্রতিনিধি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন থেকে উঠে এসেছেন এবং পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ভূমিকা নিয়েছেন। এমনকি রাহুল গান্ধী নিজেও একাধিকবার নারী প্রার্থীদের জন্য ৩৩% আসন সংরক্ষণের আইনি বাধ্যবাধকতার কথা বলেছেন, তবে সরাসরি নির্বাচনের ভিত্তিতে।

যুক্তি: নেতৃত্ব তৈরি হয় ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নয়, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্য দিয়ে। নারীদের জন্য যদি আমরা সত্যিকার নেতৃত্ব চাই, তাহলে তাঁদের সেই সুযোগ দিতে হবে নির্বাচনী মাঠে, মঞ্চে—not সুরক্ষিত ও সুবিধাবাদী আসনে।

 নারীকে প্রয়োজন সম্মান— করুণা নয়
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে আমাদের পদ্ধতি হতে হবে সাহসী ও বাস্তবসম্মত। বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের পদ্ধতি কেবল নারীর অংশগ্রহণ দেখিয়ে ‘Tick Box’ পূরণ করছে—অথচ তা নারীর নিজের ক্ষমতা, কণ্ঠস্বর বা নেতৃত্বকে দৃশ্যমান করছে না।

আমি বিশ্বাস করি—নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠুক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, সরাসরি জনmandate-এর ভিত্তিতে। সংরক্ষিত আসনের অলংকারিকতা নয়, চাই শক্তিশালী, নির্বাচিত নারী নেতৃত্ব।

সাবেক মেয়র, টাওয়ার হ্যামলেটস
সলিসিটার ও অ্যাডভোকেট

ট্যাগস :

কিশোর রবিউলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বুলবুলকে প্রধান আসামী করে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের

ভিক্ষার আসন নয়, নেতৃত্বের মঞ্চ চাই: নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়নের পথে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০২:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

শফিকুল হক :: বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন একটি দীর্ঘকালের আলোচ্য বিষয়। সংবিধান অনুযায়ী নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রথা চালু হয়েছিল, যা বর্তমানে ৫০টি আসনে উন্নীত হয়েছে। সম্প্রতি সেই সংখ্যা ১০০-এ উন্নীত করার প্রস্তাবও এসেছে। এই পদক্ষেপটি মূলত নারীর রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া হলেও বাস্তবতা হলো—এই সংরক্ষিত ব্যবস্থা নারীর নেতৃত্বগুণ, দক্ষতা, বা জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে নয়, বরং রাজনৈতিক আনুগত্যের বিনিময়ে পদায়নের একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

১. গণতন্ত্রের মৌল ভিত্তির পরিপন্থী: প্রতিনিধি কিন্তু জনগণের নয়
গণতন্ত্রের একটি মৌলিক নীতি হলো—নেতৃত্ব জনগণের ম্যান্ডেট থেকে আসবে। কিন্তু সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত নারী এমপিরা সরাসরি কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি নন। তাঁদের প্রতি জনগণের প্রত্যক্ষ চাহিদা, প্রত্যাশা বা জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হয় না। বরং তাঁরা নিয়োগপ্রাপ্ত হন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ইচ্ছা অনুযায়ী। এতে সাংসদ হিসেবে তাঁদের ভূমিকা হয়ে পড়ে দলকেন্দ্রিক, জনকেন্দ্রিক নয়।

যুক্তি: যে কোনও প্রতিনিধি যখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন, তখন তিনি নীতিনির্ধারণে সাহসী, স্বাধীন ও দায়বদ্ধ ভূমিকা রাখতে পারেন। অন্যদিকে, মনোনীত প্রতিনিধি প্রধানত দলীয় ভারসাম্য রক্ষা ও আনুগত্য প্রদর্শনেই সীমাবদ্ধ থাকেন।

২. অংশগ্রহণ ≠ ক্ষমতায়ন
সংরক্ষিত আসনে নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা মানেই নারীর ক্ষমতায়ন নয়। এটা শুধুমাত্র পরিসংখ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি হতে পারে, কিন্তু যদি সেই নারীরা সংসদে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ, সিদ্ধান্ত প্রস্তাব বা নীতিনির্ধারণ করতে না পারেন, তাহলে তা প্রকৃত অর্থে ক্ষমতায়ন নয়, “symbolic inclusion” মাত্র।

যুক্তি: বিশ্বব্যাপী গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন সফল হয় তখনই, যখন তাঁরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হন। সংরক্ষিত আসনের নারীরা বহু ক্ষেত্রেই কার্যত কোনো আইন প্রণয়ন বা গুরুত্বপূর্ণ পার্লামেন্টারি ডিবেটের অংশ হন না।

৩. রাষ্ট্রীয় অর্থব্যয়ের প্রশ্নে জবাবদিহিহীনতা
একজন সংসদ সদস্যের পেছনে সরকারকে মাসিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে বিশাল ব্যয় বহন করতে হয়—বেতন, ভাতা, অফিস, যাতায়াত, নিরাপত্তা, স্টাফ ইত্যাদি বাবদ। কিন্তু যেসব নারী সংসদ সদস্য কোনো জনসম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন না, কিংবা যাঁদের রাজনৈতিক ভূমিকা দলীয় সীমার বাইরে যায় না—তাঁদের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ।

যুক্তি: সংরক্ষিত নারী আসনগুলো যদি জনস্বার্থে বাস্তবিক পরিবর্তন না আনে, তাহলে এটি এক ধরনের Opportunity Cost—যেখানে একই সম্পদ দিয়ে আরও কার্যকর, জবাবদিহিমূলক ও গণমুখী নেতৃত্ব সৃষ্টি সম্ভব ছিল।

৪. রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ তৈরির পথ: সরাসরি নির্বাচন
সরাসরি নির্বাচন নারীর মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা, প্রস্তুতি ও জনসম্পৃক্ততার প্রবল উৎসাহ তৈরি করে। একজন নির্বাচিত নেত্রী জানেন, তাঁকে পরবর্তীবার ভোট পেতে হলে জনগণের সমস্যার সমাধানে কাজ করতে হবে। এতে তাঁরা আরও সংবেদনশীল, কর্মক্ষম এবং স্থানীয়-জাতীয় ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
যুক্তি: রাজনৈতিক নেত্রী গড়ে ওঠেন মাঠের রাজনীতি, কর্মসূচি, বিতর্ক ও জনসম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে। মনোনয়নভিত্তিক প্রক্রিয়া তাঁকে সে সুযোগ দেয় না। বরং তাঁকে বন্দী করে রাখে “দলনির্ভর অস্তিত্বে”।

৫. আন্তর্জাতিক দৃষ্টান্ত: টোকেন নয়, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন
ভারতের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে অনেক নারী জনপ্রতিনিধি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন থেকে উঠে এসেছেন এবং পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ভূমিকা নিয়েছেন। এমনকি রাহুল গান্ধী নিজেও একাধিকবার নারী প্রার্থীদের জন্য ৩৩% আসন সংরক্ষণের আইনি বাধ্যবাধকতার কথা বলেছেন, তবে সরাসরি নির্বাচনের ভিত্তিতে।

যুক্তি: নেতৃত্ব তৈরি হয় ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নয়, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্য দিয়ে। নারীদের জন্য যদি আমরা সত্যিকার নেতৃত্ব চাই, তাহলে তাঁদের সেই সুযোগ দিতে হবে নির্বাচনী মাঠে, মঞ্চে—not সুরক্ষিত ও সুবিধাবাদী আসনে।

 নারীকে প্রয়োজন সম্মান— করুণা নয়
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে আমাদের পদ্ধতি হতে হবে সাহসী ও বাস্তবসম্মত। বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের পদ্ধতি কেবল নারীর অংশগ্রহণ দেখিয়ে ‘Tick Box’ পূরণ করছে—অথচ তা নারীর নিজের ক্ষমতা, কণ্ঠস্বর বা নেতৃত্বকে দৃশ্যমান করছে না।

আমি বিশ্বাস করি—নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠুক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, সরাসরি জনmandate-এর ভিত্তিতে। সংরক্ষিত আসনের অলংকারিকতা নয়, চাই শক্তিশালী, নির্বাচিত নারী নেতৃত্ব।

সাবেক মেয়র, টাওয়ার হ্যামলেটস
সলিসিটার ও অ্যাডভোকেট


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471