ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিতৃ ভিটেতে আমার মেয়ে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম চৌধুরী :: গ্রামের এ গৃহস্ত বাড়িটি এমন হয়ে যাবে কস্মিন কালে কেউ চিন্তাও করেনি। টিলা আর ঝোপ ঝাড় বেষ্টিত ভিটেতে এখন ঘুঘুও হয়তো চষে বেড়ায় না।

আমাদের প্রথম প্রজন্মের প্রায় সব প্রবাসীর মনে গোপন ইচ্ছে থাকে, একসময় দেশে যাওয়ার। হয়ে উঠে না। সময়ে সময়ে জীবনের রঙ পাল্টায়। চেনা পথ, চেনা গলি- অচেনা হয়ে উঠে। কখনও আমারা জীবন থেকে পালাতে চাই। কখনও জীবনই আমাদের ছেড়ে পালিয়ে যেতে চায়।
অবিরাম ছুটে চলা ! অজানা গন্তব্যের দিকে হাঁটতে হাঁটতে পেছনে ফরে দেখা !
আমার মেয়ে বেশ সাহস করেই দেশে গিয়েছে।
ওরা যেতে চায়। ইচ্ছে করলেই তাদের যাওয়া হয় না।

দেশে আমাদের তেমন কেউ নেই ! ভেকেশনের জন্য বাংলাদেশ সব সময় উত্তম গন্তব্যও নয়।
তবুও আমাদের সন্তানরা শেকড়ের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়। এ পরিচয় ধারণ করেই এরা বিশ্ব নাগরিক।

যে ভিটেতে আমার মা হেঁটেছেন। সেই ভিটেতে মেয়ের ছবি দেখি। সিঁড়ি টপকানো টিলায় বাবার পায়ের ছাপ হয়তো এখনও আছে !
তার দাদার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে কী প্রার্থনা করে !
বাবা নিশ্চিত দেখছেন, তাঁর নাতনি দূরের দেশ থেকে গিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়েছে।
ছবি দেখে বুকে হাহাকার উঠে !
এ হাহাকারের কোনও মানে আমার জানা নেই । একদমই জানা নেই।

সম্পাদক, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা।

 

ট্যাগস :

পিতৃ ভিটেতে আমার মেয়ে

আপডেট সময় ০৩:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

ইব্রাহীম চৌধুরী :: গ্রামের এ গৃহস্ত বাড়িটি এমন হয়ে যাবে কস্মিন কালে কেউ চিন্তাও করেনি। টিলা আর ঝোপ ঝাড় বেষ্টিত ভিটেতে এখন ঘুঘুও হয়তো চষে বেড়ায় না।

আমাদের প্রথম প্রজন্মের প্রায় সব প্রবাসীর মনে গোপন ইচ্ছে থাকে, একসময় দেশে যাওয়ার। হয়ে উঠে না। সময়ে সময়ে জীবনের রঙ পাল্টায়। চেনা পথ, চেনা গলি- অচেনা হয়ে উঠে। কখনও আমারা জীবন থেকে পালাতে চাই। কখনও জীবনই আমাদের ছেড়ে পালিয়ে যেতে চায়।
অবিরাম ছুটে চলা ! অজানা গন্তব্যের দিকে হাঁটতে হাঁটতে পেছনে ফরে দেখা !
আমার মেয়ে বেশ সাহস করেই দেশে গিয়েছে।
ওরা যেতে চায়। ইচ্ছে করলেই তাদের যাওয়া হয় না।

দেশে আমাদের তেমন কেউ নেই ! ভেকেশনের জন্য বাংলাদেশ সব সময় উত্তম গন্তব্যও নয়।
তবুও আমাদের সন্তানরা শেকড়ের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়। এ পরিচয় ধারণ করেই এরা বিশ্ব নাগরিক।

যে ভিটেতে আমার মা হেঁটেছেন। সেই ভিটেতে মেয়ের ছবি দেখি। সিঁড়ি টপকানো টিলায় বাবার পায়ের ছাপ হয়তো এখনও আছে !
তার দাদার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে কী প্রার্থনা করে !
বাবা নিশ্চিত দেখছেন, তাঁর নাতনি দূরের দেশ থেকে গিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়েছে।
ছবি দেখে বুকে হাহাকার উঠে !
এ হাহাকারের কোনও মানে আমার জানা নেই । একদমই জানা নেই।

সম্পাদক, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা।

 


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471