পরীক্ষামূলক প্রকাশনা | ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত আগুনে পুড়ল উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪ শতাধিক ঘর, নিহত ২ জালালাবাদ এসোসিয়েশন ফ্রান্সের কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত প্যারিসে ‘বিজয়ের ৫৪ বছরে বাংলাদেশ : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা শেখ হাসিনার ফেরাতে দিল্লিকে ঢাকার চিঠি আমাদের প্রিয় শিক্ষক শহীদ স্যার ও জুহেদ স্যার: এক স্মৃতিময় যাত্রা স্মার্টফোনের অবস্থান গোপন রাখবে যে অ্যাপ লাল-সবুজের রঙে সাজলো পোল্যান্ডের স্লাসকো সেতু আজ প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ওয়েলস বাংলাদেশ কমিউনিটির মহান বিজয় দিবস উদযাপন

সশস্ত্র বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বললেন মঈন উ আহমেদ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন উ আহমেদ

অভিবাসন ডেস্ক :: ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মঈন উ আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ভারত এখন যা করছে তা দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের বাংলা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ১৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও এই প্রথম তিনি প্রকাশ্যে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

মঈন উ আহমেদ বলেন, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারত তাদের গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাচ্ছে। কলকাতায় ও আগরতলায় বাংলাদেশ কনসুলেটে হামলার পর কূটনৈতিক চ্যানেলে বাংলাদেশকে আরও সোচ্চার হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, জাতিসংঘে প্রমাণসহ ভারতের আগ্রাসন ও মিথ্যাচারের চিত্র তুলে ধরতে হবে। চীন, সৌদি আরব ও তুরস্কসহ বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি তুলতে হবে।

ভারত কেন এ সময়কে বেছে নিল– প্রশ্নের জবাবে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, এতদিন তারা বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনমতো সবকিছু পাচ্ছিল। এখন তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা।

২০০৫ সালের ১৫ জুন সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মঈন উ আহমেদ। বছর দুই পরে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি (ওয়ান-ইলেভেন) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার পরিবর্তে ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার অপচেষ্টা করেছিল। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা (দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া)’ কার্যকরের চেষ্টা হয়েছিল। বলা হয়, এই পরিকল্পনার অন্যতম কুশীলব হিসেবে ছিলেন জেনারেল মঈন।

ট্যাগস :

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

সশস্ত্র বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বললেন মঈন উ আহমেদ

আপডেট সময় ০২:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

অভিবাসন ডেস্ক :: ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মঈন উ আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ভারত এখন যা করছে তা দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের বাংলা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ১৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও এই প্রথম তিনি প্রকাশ্যে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

মঈন উ আহমেদ বলেন, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারত তাদের গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাচ্ছে। কলকাতায় ও আগরতলায় বাংলাদেশ কনসুলেটে হামলার পর কূটনৈতিক চ্যানেলে বাংলাদেশকে আরও সোচ্চার হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, জাতিসংঘে প্রমাণসহ ভারতের আগ্রাসন ও মিথ্যাচারের চিত্র তুলে ধরতে হবে। চীন, সৌদি আরব ও তুরস্কসহ বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি তুলতে হবে।

ভারত কেন এ সময়কে বেছে নিল– প্রশ্নের জবাবে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, এতদিন তারা বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনমতো সবকিছু পাচ্ছিল। এখন তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা।

২০০৫ সালের ১৫ জুন সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মঈন উ আহমেদ। বছর দুই পরে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি (ওয়ান-ইলেভেন) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার পরিবর্তে ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার অপচেষ্টা করেছিল। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা (দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া)’ কার্যকরের চেষ্টা হয়েছিল। বলা হয়, এই পরিকল্পনার অন্যতম কুশীলব হিসেবে ছিলেন জেনারেল মঈন।