পরীক্ষামূলক প্রকাশনা | ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্পেনে সর্বকালের রেকর্ড ভাঙা বন্যা, মৃত বেড়ে ২০৫ অভিবাসীদের দুঃসংবাদ জানাল কানাডা আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার সময় বাড়ল আরও দুই মাস চ্যাম্পিয়ন কন্যাদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত ছাদ খোলা বাস স্পেনে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ আ. লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট চালাবেন না হাসনাত-সারজিস নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদনকারীদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী ২০২৬ ডিভি লটারিতে ৫৫ হাজার লোক নিবে আমেরিকা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাবে কি ? সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করতে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া ২৭ বছর প্রবাসে ‘বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিকল্প নেই’

পিতৃ ভিটেতে আমার মেয়ে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম চৌধুরী :: গ্রামের এ গৃহস্ত বাড়িটি এমন হয়ে যাবে কস্মিন কালে কেউ চিন্তাও করেনি। টিলা আর ঝোপ ঝাড় বেষ্টিত ভিটেতে এখন ঘুঘুও হয়তো চষে বেড়ায় না।

আমাদের প্রথম প্রজন্মের প্রায় সব প্রবাসীর মনে গোপন ইচ্ছে থাকে, একসময় দেশে যাওয়ার। হয়ে উঠে না। সময়ে সময়ে জীবনের রঙ পাল্টায়। চেনা পথ, চেনা গলি- অচেনা হয়ে উঠে। কখনও আমারা জীবন থেকে পালাতে চাই। কখনও জীবনই আমাদের ছেড়ে পালিয়ে যেতে চায়।
অবিরাম ছুটে চলা ! অজানা গন্তব্যের দিকে হাঁটতে হাঁটতে পেছনে ফরে দেখা !
আমার মেয়ে বেশ সাহস করেই দেশে গিয়েছে।
ওরা যেতে চায়। ইচ্ছে করলেই তাদের যাওয়া হয় না।

দেশে আমাদের তেমন কেউ নেই ! ভেকেশনের জন্য বাংলাদেশ সব সময় উত্তম গন্তব্যও নয়।
তবুও আমাদের সন্তানরা শেকড়ের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়। এ পরিচয় ধারণ করেই এরা বিশ্ব নাগরিক।

যে ভিটেতে আমার মা হেঁটেছেন। সেই ভিটেতে মেয়ের ছবি দেখি। সিঁড়ি টপকানো টিলায় বাবার পায়ের ছাপ হয়তো এখনও আছে !
তার দাদার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে কী প্রার্থনা করে !
বাবা নিশ্চিত দেখছেন, তাঁর নাতনি দূরের দেশ থেকে গিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়েছে।
ছবি দেখে বুকে হাহাকার উঠে !
এ হাহাকারের কোনও মানে আমার জানা নেই । একদমই জানা নেই।

সম্পাদক, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা।

 

ট্যাগস :

স্পেনে সর্বকালের রেকর্ড ভাঙা বন্যা, মৃত বেড়ে ২০৫

পিতৃ ভিটেতে আমার মেয়ে

আপডেট সময় ০৩:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

ইব্রাহীম চৌধুরী :: গ্রামের এ গৃহস্ত বাড়িটি এমন হয়ে যাবে কস্মিন কালে কেউ চিন্তাও করেনি। টিলা আর ঝোপ ঝাড় বেষ্টিত ভিটেতে এখন ঘুঘুও হয়তো চষে বেড়ায় না।

আমাদের প্রথম প্রজন্মের প্রায় সব প্রবাসীর মনে গোপন ইচ্ছে থাকে, একসময় দেশে যাওয়ার। হয়ে উঠে না। সময়ে সময়ে জীবনের রঙ পাল্টায়। চেনা পথ, চেনা গলি- অচেনা হয়ে উঠে। কখনও আমারা জীবন থেকে পালাতে চাই। কখনও জীবনই আমাদের ছেড়ে পালিয়ে যেতে চায়।
অবিরাম ছুটে চলা ! অজানা গন্তব্যের দিকে হাঁটতে হাঁটতে পেছনে ফরে দেখা !
আমার মেয়ে বেশ সাহস করেই দেশে গিয়েছে।
ওরা যেতে চায়। ইচ্ছে করলেই তাদের যাওয়া হয় না।

দেশে আমাদের তেমন কেউ নেই ! ভেকেশনের জন্য বাংলাদেশ সব সময় উত্তম গন্তব্যও নয়।
তবুও আমাদের সন্তানরা শেকড়ের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়। এ পরিচয় ধারণ করেই এরা বিশ্ব নাগরিক।

যে ভিটেতে আমার মা হেঁটেছেন। সেই ভিটেতে মেয়ের ছবি দেখি। সিঁড়ি টপকানো টিলায় বাবার পায়ের ছাপ হয়তো এখনও আছে !
তার দাদার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে কী প্রার্থনা করে !
বাবা নিশ্চিত দেখছেন, তাঁর নাতনি দূরের দেশ থেকে গিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়েছে।
ছবি দেখে বুকে হাহাকার উঠে !
এ হাহাকারের কোনও মানে আমার জানা নেই । একদমই জানা নেই।

সম্পাদক, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা।

 


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5427