ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকদের বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন দুই কাশ্মীরি কন্যা গণপরিবহণে হয়রানির শিকার ৮৭ শতাংশ নারী উইশ ফাউন্ডেশনের নাসিমা ইসলামের ঝুলিতে টাওয়ার হ্যামলেটস সিভিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে! প্রয়াত চেয়ারম্যান সৈয়দ কওছর আহমদ স্মরণে ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিল সিলেট টেস্টে দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠেই হেরে গেল টাইগাররা ফ্রান্সে অভিবাসীদের সেবার প্রত্যয়ে ফ্রাঙ্কো-বাংলা স্কুলের নতুন অফিসের উদ্বোধন সিলেট জেলার শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বাংলাদেশের বাঁধ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ, সীমান্তে প্রতিনিধিদল

নিউইয়র্কে গভর্নর মনসুর : রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৩১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

অভিবাসন ডেস্ক :: দেশে রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংকের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান মনসুর। তিনি বলেছেন, ‘অতীতে তা (রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক) করতে গিয়ে ব্যাংক খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে। ভাই, বোন, স্ত্রী ও নেতাদের ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার সংস্কৃতি আর চালু হতে দেওয়া যাবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শনিবার বিকালে বাংলাদেশ কনস্যুলেট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ ছাড়াও দেশ চলতে পারবে। তাদেরর সঙ্গে আমাদের মতানৈক্য খুব কম বিষয়ে আছে। আইএমএফকে আমি আগে বলেছি, তাদের টাকার আমাদের খুব একটা দরকার নেই। আমাদের এখন প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলারের মতো রিজার্ভ আছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অন্য জায়গায়।’

অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে আইএমএফ টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও পরামর্শ দিচ্ছে জানিয়ে ড. আহসান মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকগুলো মার্জারের বিষয় তাদের (আইএমএফ) পরামর্শ নিচ্ছি। কারণ এভাবে একসঙ্গে সাত থেকে আটটি ব্যাংক মার্জ করার নজির পৃথিবীতে খুব একটা নেই। এক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ লাগবেই। আমাদের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রয়েছে। আইএমএফ আমাদের উন্নয়ন সহযোগী পার্টনার। দেশের প্রযুক্তি ও উন্নয়নে তারা জড়িত। ধারাবাহিকতা ও অংশদারিত্বের প্রয়োজনে তাদের অর্থ আমরা নিতে চাই।’

রুগ্ন কয়েকটি ব্যাংক প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘সেগুলোকে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে আমরা মার্জ করে দেব। তারপর সেগুলোর মালিকানা আমরা প্রবাসীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তি মালিকানার কাছে দেওয়া হবে। তবে মালিকানা হস্তান্তর করার আগে ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করা হবে। কারণ সেগুলো বন্ধ করার দেওয়ার চেয়ে মার্জ করে চালু রাখলে সরকারের লোকসান কম হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাক এটা আমরা চাই না।’ ব্যাংক পরিচালনায় পতিত সরকারের সময়ের মতো রাজনৈতিক চাপের মধ্যে আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘কোনোভাবেই না। ব্যাংকগুলো এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এ সেক্টরে হরিলুটের খেলা বন্ধ হয়েছে। ব্যাংক যাতে কোনো পরিবারের দখলে থাকতে না পারে সে বিষয়ে আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। কোনো রাজনীতিবিদ বা তাদের সন্তানরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয়ে ব্যাংকের মালিক হবেন তা আমি গভর্নর থাকা অবস্থায় তা হতে দেব না।’

বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা প্রসঙ্গে ড. আহসান মনসুর বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ব্রিটেনে তারা কাজ করছে। টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত কয়েকশ ব্যক্তিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিষয়ে আমরা ল ফার্মকে হায়ার করছি। ফার্মগুলোকে আমরা তথ্য দিব। তারা যদি অর্থ আদায় করতে পারে তার নির্দিষ্ট একটা অংশ তাদের দেওয়া হবে।’

ট্যাগস :

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকদের বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন দুই কাশ্মীরি কন্যা

নিউইয়র্কে গভর্নর মনসুর : রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয়

আপডেট সময় ০৬:৩১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

অভিবাসন ডেস্ক :: দেশে রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংকের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান মনসুর। তিনি বলেছেন, ‘অতীতে তা (রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক) করতে গিয়ে ব্যাংক খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে। ভাই, বোন, স্ত্রী ও নেতাদের ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার সংস্কৃতি আর চালু হতে দেওয়া যাবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শনিবার বিকালে বাংলাদেশ কনস্যুলেট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ ছাড়াও দেশ চলতে পারবে। তাদেরর সঙ্গে আমাদের মতানৈক্য খুব কম বিষয়ে আছে। আইএমএফকে আমি আগে বলেছি, তাদের টাকার আমাদের খুব একটা দরকার নেই। আমাদের এখন প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলারের মতো রিজার্ভ আছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অন্য জায়গায়।’

অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে আইএমএফ টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও পরামর্শ দিচ্ছে জানিয়ে ড. আহসান মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকগুলো মার্জারের বিষয় তাদের (আইএমএফ) পরামর্শ নিচ্ছি। কারণ এভাবে একসঙ্গে সাত থেকে আটটি ব্যাংক মার্জ করার নজির পৃথিবীতে খুব একটা নেই। এক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ লাগবেই। আমাদের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রয়েছে। আইএমএফ আমাদের উন্নয়ন সহযোগী পার্টনার। দেশের প্রযুক্তি ও উন্নয়নে তারা জড়িত। ধারাবাহিকতা ও অংশদারিত্বের প্রয়োজনে তাদের অর্থ আমরা নিতে চাই।’

রুগ্ন কয়েকটি ব্যাংক প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘সেগুলোকে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে আমরা মার্জ করে দেব। তারপর সেগুলোর মালিকানা আমরা প্রবাসীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তি মালিকানার কাছে দেওয়া হবে। তবে মালিকানা হস্তান্তর করার আগে ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করা হবে। কারণ সেগুলো বন্ধ করার দেওয়ার চেয়ে মার্জ করে চালু রাখলে সরকারের লোকসান কম হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাক এটা আমরা চাই না।’ ব্যাংক পরিচালনায় পতিত সরকারের সময়ের মতো রাজনৈতিক চাপের মধ্যে আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘কোনোভাবেই না। ব্যাংকগুলো এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এ সেক্টরে হরিলুটের খেলা বন্ধ হয়েছে। ব্যাংক যাতে কোনো পরিবারের দখলে থাকতে না পারে সে বিষয়ে আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। কোনো রাজনীতিবিদ বা তাদের সন্তানরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয়ে ব্যাংকের মালিক হবেন তা আমি গভর্নর থাকা অবস্থায় তা হতে দেব না।’

বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা প্রসঙ্গে ড. আহসান মনসুর বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ব্রিটেনে তারা কাজ করছে। টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত কয়েকশ ব্যক্তিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিষয়ে আমরা ল ফার্মকে হায়ার করছি। ফার্মগুলোকে আমরা তথ্য দিব। তারা যদি অর্থ আদায় করতে পারে তার নির্দিষ্ট একটা অংশ তাদের দেওয়া হবে।’


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471