পরীক্ষামূলক প্রকাশনা | ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অনির্দিষ্টকালের জন্য তিতুমীর কলেজ ‘শাটডাউন’ ঘোষণা আহতদের সুচিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা: হাসনাত আবদুল্লাহ ঘন কুয়াশায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে ৬ গাড়ি, আহত ২৫ সেই মাফলার ‘নিলামে’ বিক্রির ঘোষণা দিলেন প্রেস সচিব শাবির বঙ্গবন্ধু হল এখন ‘বিজয় ২৪’ শান্তিতে নোবেলের জন্য ইলন মাস্ককে মনোনয়ন গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার পর সকালে যুবদল নেতার মৃত্যু, শরীরে আঘাতের চিহ্ন প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমার কারাদণ্ড মস্কোতে বাংলাদেশ-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫৩ বছর উদযাপন শীর্ষ নেতৃত্বের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আ.লীগ কর্মসূচি করতে পারবে না: প্রেস সচিব

আহতদের সুচিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা: হাসনাত আবদুল্লাহ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে আলাপকালে হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি-ভিডিও থেকে নেওয়া

অভিবাসন ডেস্ক :: রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। রোববার রাত ১২টার দিকে তারা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে চলে যান। যমুনার সামনে পৌঁছালে দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনিও আন্দোলনরতদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আহতদের সুচিকিৎসা দিতে পারে নাই, এটা সরকারের ব্যর্থতা। এ জন্য সরকারের আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি দায়ী, সচিবরা দায়ী, আমলারা দায়ী। যারা আহত হয়েছেন, তাদের আমরা সুচিকিৎসা দিতে পারি নাই, এ জন্য আমি নিজে ব্যথিত।’

আহতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনাদের স্বীকৃতি এবং দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য আমরাও সরকারের সঙ্গে চেষ্টা করছি। আপনারা শান্ত থাকুন, আপনাদের বিষয়গুলো নিয়ে আমরাও কাজ করছি। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের দাবি পূরণ করবে। আপনাদের তালিকা করা হয়েছে।’

এ সময় হাসনাতকে উদ্দেশ করে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমাদের আরও গুলি করুন, আমরা মরতে চাই। এই পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে আমরা বাঁচতে চাই না। হয় স্বীকৃতি দিন, না হয় আমাদের গুলি করে মেরে ফেলুন। স্বীকৃতি না দিলে আমরা আত্মহত্যা করব।’

হাসনাত আবদুল্লাহ কথা বলার সময় আহতরা ‘বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘রক্ত দিয়েছি আরও রক্ত দেব’, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া আগ পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়ব না’, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন, না হয় আমরা আত্মহত্যা করব’, ‘হয় আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন, না হয় গুলি করে মেরে ফেলুন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনকারীদের একজন আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব।’ এর আগে তিনি বলেছিলেন, শনিবার রাত থেকে তারা সড়কে অবস্থান করলেও সরকারের দায়িত্বশীল কেউ তাদের সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, ন্যূনতম সহানুভূতিও দেখাননি। অথচ জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত মানুষদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে।

রাত দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যমুনার সামনে অবস্থান করছিলেন আহতরা। হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে আরও কয়েক সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তারাও আন্দোলনকারীদের বিভিন্নভাবে থামানোর চেষ্টা করেন।

আহত ব্যক্তিরা বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ব না। আমরা বারবার সড়কে নামতে চাই না। এবার যেহেতু সড়কে নেমেছি, আমাদের দাবি আদায় করেই ছাড়ব।’

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে গত শনিবার আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে আন্দোলনে নামেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। রোববার তারা দিনভর রাজধানীর শিশুমেলা মোড়ে মিরপুর সড়ক অবরোধ করেন। সন্ধ্যায় সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রা করেন আহত ব্যক্তিরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহবাগ এলাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পৌঁছান। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকা পড়েন। তখন ওই জায়গায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন আহতরা। রাত পৌনে ১২টার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে তারা যমুনার দিকে এগিয়ে যান। আন্দোলনকারীরা যমুনার সামনে পৌঁছালে সেখানে যান হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাসদস্যরা আন্দোলনকারীদের সামনে অবস্থান নেন।

ট্যাগস :

অনির্দিষ্টকালের জন্য তিতুমীর কলেজ ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

আহতদের সুচিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা: হাসনাত আবদুল্লাহ

আপডেট সময় ০২:২৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অভিবাসন ডেস্ক :: রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। রোববার রাত ১২টার দিকে তারা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে চলে যান। যমুনার সামনে পৌঁছালে দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনিও আন্দোলনরতদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আহতদের সুচিকিৎসা দিতে পারে নাই, এটা সরকারের ব্যর্থতা। এ জন্য সরকারের আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি দায়ী, সচিবরা দায়ী, আমলারা দায়ী। যারা আহত হয়েছেন, তাদের আমরা সুচিকিৎসা দিতে পারি নাই, এ জন্য আমি নিজে ব্যথিত।’

আহতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনাদের স্বীকৃতি এবং দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য আমরাও সরকারের সঙ্গে চেষ্টা করছি। আপনারা শান্ত থাকুন, আপনাদের বিষয়গুলো নিয়ে আমরাও কাজ করছি। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের দাবি পূরণ করবে। আপনাদের তালিকা করা হয়েছে।’

এ সময় হাসনাতকে উদ্দেশ করে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমাদের আরও গুলি করুন, আমরা মরতে চাই। এই পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে আমরা বাঁচতে চাই না। হয় স্বীকৃতি দিন, না হয় আমাদের গুলি করে মেরে ফেলুন। স্বীকৃতি না দিলে আমরা আত্মহত্যা করব।’

হাসনাত আবদুল্লাহ কথা বলার সময় আহতরা ‘বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘রক্ত দিয়েছি আরও রক্ত দেব’, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া আগ পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়ব না’, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন, না হয় আমরা আত্মহত্যা করব’, ‘হয় আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন, না হয় গুলি করে মেরে ফেলুন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনকারীদের একজন আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব।’ এর আগে তিনি বলেছিলেন, শনিবার রাত থেকে তারা সড়কে অবস্থান করলেও সরকারের দায়িত্বশীল কেউ তাদের সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, ন্যূনতম সহানুভূতিও দেখাননি। অথচ জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত মানুষদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে।

রাত দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যমুনার সামনে অবস্থান করছিলেন আহতরা। হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে আরও কয়েক সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তারাও আন্দোলনকারীদের বিভিন্নভাবে থামানোর চেষ্টা করেন।

আহত ব্যক্তিরা বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ব না। আমরা বারবার সড়কে নামতে চাই না। এবার যেহেতু সড়কে নেমেছি, আমাদের দাবি আদায় করেই ছাড়ব।’

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে গত শনিবার আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে আন্দোলনে নামেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। রোববার তারা দিনভর রাজধানীর শিশুমেলা মোড়ে মিরপুর সড়ক অবরোধ করেন। সন্ধ্যায় সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রা করেন আহত ব্যক্তিরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহবাগ এলাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পৌঁছান। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকা পড়েন। তখন ওই জায়গায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন আহতরা। রাত পৌনে ১২টার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে তারা যমুনার দিকে এগিয়ে যান। আন্দোলনকারীরা যমুনার সামনে পৌঁছালে সেখানে যান হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাসদস্যরা আন্দোলনকারীদের সামনে অবস্থান নেন।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464