পরীক্ষামূলক প্রকাশনা | ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ফ্রি মেডিক্যাল সেবা বংশালে অনুষ্ঠিত গোয়ালাবাজারে গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভেজা মাঠের কারণে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ টেস্টের টস বিলম্বিত ‘৩-৪ আগস্ট ভারতের দালালদের সঙ্গে বৈঠকের অভিযোগ’, যা বললেন আসিফ নজরুল কুয়ালালামপুরে ১১ বাংলাদেশিসহ আটক ৩২ অভিবাসী ইতালি নেদারল্যান্ডস কানাডায় পা রাখলেই গ্রেফতার নেতানিয়াহু মালয়েশিয়ায় নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারী উদ্ধার দুবাইয়ের গ্লোবাল ভিলেজে কেবল নামে আছে বাংলাদেশ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা থেকে মেজর হাফিজের অব্যাহতি মহাখালীতে শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেলে রক্তাক্ত ট্রেনযাত্রী

নরওয়ের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চালুর প্রস্তাব

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

অভিবাসন ডেস্ক :: নরওয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চালু করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহণ এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, নরওয়েতে সরাসরি নৌ যোগাযোগ স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম থেকে নরওয়ের যেকোনো বন্দরে ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব। এ জন্য বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে একটি বিশেষ নৌ-চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। রোববার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন সাক্ষাৎ করতে এলে নৌ উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির সোনালি প্রবেশদ্বার। সরকার চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সফলভাবে নৌ-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ। বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আরএমজি পণ্য ইতোমধ্যে নরওয়ের বাজারে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে কার্গো পৌঁছাতে ৪০ থেকে ৪৫ দিন বা তার বেশি সময় লাগে। যেখানে নরওয়েতে সরাসরি নৌ-যোগাযোগ স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম থেকে নরওয়ের যেকোনো বন্দরে পণ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গড়ে ১৮ থেকে ২৩ দিন কম সময় লাগবে এবং মালামাল বহন খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানি জাহাজ শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী।

ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। ভূ-কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ হাবে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়াও আমাদের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর দুটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। মোংলা বন্দরকে একটি গ্রিনপোর্ট হিসেবে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। এ দুটি বন্দরের ডকইয়ার্ড নির্মাণে নরওয়ে কারিগরি ও আর্থিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। উপদেষ্টা ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে নরওয়ের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, নরওয়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ফ্রি মেডিক্যাল সেবা বংশালে অনুষ্ঠিত

নরওয়ের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চালুর প্রস্তাব

আপডেট সময় ০৪:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

অভিবাসন ডেস্ক :: নরওয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চালু করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহণ এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, নরওয়েতে সরাসরি নৌ যোগাযোগ স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম থেকে নরওয়ের যেকোনো বন্দরে ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব। এ জন্য বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে একটি বিশেষ নৌ-চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। রোববার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন সাক্ষাৎ করতে এলে নৌ উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির সোনালি প্রবেশদ্বার। সরকার চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সফলভাবে নৌ-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ। বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আরএমজি পণ্য ইতোমধ্যে নরওয়ের বাজারে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে কার্গো পৌঁছাতে ৪০ থেকে ৪৫ দিন বা তার বেশি সময় লাগে। যেখানে নরওয়েতে সরাসরি নৌ-যোগাযোগ স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম থেকে নরওয়ের যেকোনো বন্দরে পণ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গড়ে ১৮ থেকে ২৩ দিন কম সময় লাগবে এবং মালামাল বহন খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানি জাহাজ শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী।

ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। ভূ-কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ হাবে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়াও আমাদের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর দুটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। মোংলা বন্দরকে একটি গ্রিনপোর্ট হিসেবে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। এ দুটি বন্দরের ডকইয়ার্ড নির্মাণে নরওয়ে কারিগরি ও আর্থিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। উপদেষ্টা ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে নরওয়ের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, নরওয়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464