অনলাইন ডেস্ক :: জম্মু ও কাশ্মীরেও ৯০টি আসন। বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী- এর মধ্যে ৪৩টি আসন পেতে পারে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট, যেখানে সরকার গড়তে প্রয়োজন হবে ৪৬ আসন।
বুথফেরত জরিপ বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠনের দৌড়ে এগিয়ে থাকতে পারে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট। তবে সে ক্ষেত্রে একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হতে পারে। অবশ্য বুথফেরত জরিপের ফলাফল অবশ্য ভুল হওয়ারও ইতিহাস আছে।
ইন্ডিয়া টুডে এবং সি-ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরে ৪০-৪৮টি আসন পেতে পারে ইন্ডিয়া জোট (কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স)। কাশ্মীর এলাকায় ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ২৯-৩৩টি আসন। বিজেপি একটি আসনে জিততে পারে।
ধ্রুব রিসার্চের সমীক্ষায় অনুযায়ী, ৫৭-৬৪টি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস। আর বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ২৭-৩২টি আসন। অর্থাৎ, আরও একটি সমীক্ষায় বিজেপি সরকারের পতনের আভাস দেওয়া হয়েছে।
পিপলস পালসের সমীক্ষা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরে একক বৃহত্তম দল হতে পারে ন্যাশনাল কনফারেন্স। জিততে পারে ৩৩-৩৫টি আসন। কংগ্রেস ১৩-১৫টি আসনে জিততে পারে। বিজেপি জিততে পারে ২৩-৩৭টি আসন। আরও তিনটি বুথফেরত জরিপের সমীক্ষা বলছে, কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স পেতে পারে ৪৩ আসন। আর বিজেপি পেতে পারে ২৬টি আসন, যা জাদুসংখ্যা থেকে অনেক কম। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির ১০ মন্ত্রী এবার প্রার্থী হয়েছিলেন। তার মধ্যে মাত্র দুই মন্ত্রী এবার ভোটের বৈতরণী পার হতে পেরেছেন। বাকি আটজনই পরাস্ত হয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের বৃহৎ ও বৈচিত্র্যময় ভোটার জনসংখ্যার কারণে বুথফেরত জরিপগুলো বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। সাধারণ নির্বাচনেও বুথফেরত জরিপগুলো ধারণা করেছিল, মোদির বিজেপি বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে। তবে তা ব্যর্থ হয়েছিল। বরং সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে এবং জোট সরকার গঠনের জন্য বিজেপিকে আঞ্চলিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল। আগামী নভেম্বরে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে। খবর- এনডিটিভি।