পরীক্ষামূলক প্রকাশনা | ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমবাজার যেভাবে চালু হয়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

ছবির ক্যাপশান, ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম ২৩ জন শ্রমিক মালয়েশিয়াতে যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বৈদেশিক শ্রমবাজারের ইতিহাস বেশ পুরোনো, প্রায় পঞ্চাশ বছরের কাছাকাছি। এর মধ্যে যেসব দেশ জনশক্তি রপ্তানির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় তার মধ্যে অন্যতম মালয়েশিয়া খবর বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক যাওয়া শুরু করে ১৯৭৬ সাল থেকে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসেবে সে সময় থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক গেছে এক কোটি ৬০ লাখেরও বেশি।

আজ ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, গুরুত্ব পাবে যেসব ইস্যু

 

বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে রয়েছে মালয়েশিয়া। কিন্তু এরপরও এ দেশের শ্রমবাজার নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সময় দফায় দফায় বন্ধ ছিল সেখানকার বাংলাদেশের শ্রমবাজার।

সর্বশেষ এ বছরের জুন থেকে আবারো বন্ধ হয় সেদেশে বাংলাদেশসহ সব দেশের শ্রমবাজার।

ঠিক কখন থেকে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমবাজারের উত্থান ঘটে? কেনই বা সেদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নিয়ে এতো টানাপোড়েন বা বন্ধ হয়ে যায়?

মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের ইতিহাস

১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হলেও মালয়েশিয়ার বাজারে আরো দুই বছর পর শুরু হয় এ যাত্রা। ১৯৭৮ সালে প্রথম মাত্র ২৩ জন শ্রমিক মালয়েশিয়া যায়।

বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া যায়।

তবে, বাংলাদেশের শ্রমবাজারের সাথে জড়িত ব্যক্তি, জনশক্তি রপ্তানি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের সাথে জনশক্তি নিয়োগের চুক্তি হয় ১৯৯২ সালে।

শ্রমবাজারের যাত্রা শুরুর পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২০টিরও বেশি দেশের পরিসংখ্যান এই ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।

এই পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জনশক্তি গিয়েছে সৌদি আরবে। সংখ্যাটা প্রায় ৫৮ লাখ। শতকরা হিসেবে মোট জনশক্তি রপ্তানির প্রায় ৩৬ শতাংশই সৌদি আরবে হয়।

দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২৬ লাখের বেশি মানুষ ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ দেশে যায়।

আর বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওমান। প্রায় ১৯ লাখ মানুষের শ্রমবাজার এ দেশটিতে রয়েছে।

এরপরের অবস্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া। সেখানে এ পর্যন্ত শ্রমিক গিয়েছে সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি। মালয়েশিয়াতে রয়েছে বাংলাদেশের নয় শতাংশের বেশি শ্রমবাজার।

বিএমইটির ওয়েবসাইটে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম ২৩ জন শ্রমিক মালয়েশিয়াতে যায়। পরের বছর কোন শ্রমিক মালয়েশিয়াতে না গেলেও ১৯৮০ সালে মাত্র তিনজন শ্রমিক সে দেশে যায়।

এরপরের দুই বছর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যায় নি কোন বাংলাদেশি। দুই বছর বাদে আবার ১৯৮৩ সালে ২৩ জন মালয়েশিয়াতে যায়। এরপরে দুই বছর আবার কোন শ্রমিক যায়নি এই দেশটিতে। কিন্তু ১৯৮৬ সালে সর্বোচ্চ ৫৩০ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যায়।

এই ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অনিয়মিতভাবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের বাংলাদেশিদের যাতায়াত চলে।

তবে, ১৯৯০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এই দেশের বাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের যাত্রা বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সময় এ শ্রমবাজার বন্ধ হলেও এখন পর্যন্ত শুধু ২০২৩ সালেই দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ শ্রমিক গিয়েছে। তিন লাখ ৫১ হাজারের বেশি মানুষ গত বছর সে দেশে যায়।

তবে, বাংলাদেশে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বায়রার বর্তমান সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম অবশ্য দাবি করছেন ১৯৯০ সালেই প্রথম মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমবাজারের যাত্রা শুরু হয়। ওই বছর তিনিই প্রথম পাঁচশো শ্রমিক পাঠান মালয়েশিয়াতে।

বিবিসি বাংলাকে মি. ইসলাম বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত বা সৌভাগ্যবশত ১৯৯০ সালে আমিই প্রথম মালয়েশিয়াতে গাছ রোপন প্রকল্পের জন্য ৫০০ লোক পাঠাই। ওইটাই শুরু। এটাই আনুষ্ঠানিক, কারণ যখন বাংলাদেশি দূতাবাস সিল দেয় তখন ওইটাই আনুষ্ঠানিক হয়।”

“পাঁচশজনের কাজ পেয়েছিলাম প্রথমে। কিন্তু সেখানকার লজিস্টিক ভালো ছিল না। শৌচাগার ছিল না, হেলথ স্যানিটেশন ছিল না বাগানের মধ্যে। ক্যাম্পিং ছিল না, খাবার ভালো ছিল না, বড় বড় মশা, বাঘ, সাপ ছিল জঙ্গলে সে সময়,” বলেন মি. ইসলাম।

এদিকে, কুয়ালালামপুর-ভিত্তিক বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক আহমেদুল কবির জানান ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫৩০ জনকে শ্রমিক হিসেবে পাম, রাবার বাগানে কাজ করার জন্য নেয়া হয়।

মি. কবিরের তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় বিএমইটির ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে।

বিবিসি বাংলাকে মি. কবির বলেন, “১৯৮৬ সালে প্রথম শ্রমিক হিসেবে ৫৩০ জনকে বাগানে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের সাথে লোক নিয়োগের আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে মালয়েশিয়া। সেই একই প্রক্রিয়ায় ওই বছরই ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তানের সাথেও চুক্তি করা হয়।”

বিএমইটির ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৯৭৮ সালের পর প্রথম সর্বোচ্চ ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ৩৮৫ জন শ্রমিক মালয়েশিয়া যায়। পরের বছর এ সংখ্যা আরো বাড়ে।

একইসাথে ১৯৯২ সালে চুক্তি হওয়ার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় সাতগুন বেড়ে যায়। পরের বছরগুলোতে এ সংখ্যা আরো বাড়ে।

এভাবেই ধীরে ধীরে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বিকশিত হলেও বিভিন্ন সময় নানা কারণে বন্ধ হয় এ বাজার।

ট্যাগস :

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমবাজার যেভাবে চালু হয়

আপডেট সময় ০১:১৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বৈদেশিক শ্রমবাজারের ইতিহাস বেশ পুরোনো, প্রায় পঞ্চাশ বছরের কাছাকাছি। এর মধ্যে যেসব দেশ জনশক্তি রপ্তানির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় তার মধ্যে অন্যতম মালয়েশিয়া খবর বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক যাওয়া শুরু করে ১৯৭৬ সাল থেকে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসেবে সে সময় থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক গেছে এক কোটি ৬০ লাখেরও বেশি।

আজ ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, গুরুত্ব পাবে যেসব ইস্যু

 

বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে রয়েছে মালয়েশিয়া। কিন্তু এরপরও এ দেশের শ্রমবাজার নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সময় দফায় দফায় বন্ধ ছিল সেখানকার বাংলাদেশের শ্রমবাজার।

সর্বশেষ এ বছরের জুন থেকে আবারো বন্ধ হয় সেদেশে বাংলাদেশসহ সব দেশের শ্রমবাজার।

ঠিক কখন থেকে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমবাজারের উত্থান ঘটে? কেনই বা সেদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নিয়ে এতো টানাপোড়েন বা বন্ধ হয়ে যায়?

মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের ইতিহাস

১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হলেও মালয়েশিয়ার বাজারে আরো দুই বছর পর শুরু হয় এ যাত্রা। ১৯৭৮ সালে প্রথম মাত্র ২৩ জন শ্রমিক মালয়েশিয়া যায়।

বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া যায়।

তবে, বাংলাদেশের শ্রমবাজারের সাথে জড়িত ব্যক্তি, জনশক্তি রপ্তানি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের সাথে জনশক্তি নিয়োগের চুক্তি হয় ১৯৯২ সালে।

শ্রমবাজারের যাত্রা শুরুর পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২০টিরও বেশি দেশের পরিসংখ্যান এই ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।

এই পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জনশক্তি গিয়েছে সৌদি আরবে। সংখ্যাটা প্রায় ৫৮ লাখ। শতকরা হিসেবে মোট জনশক্তি রপ্তানির প্রায় ৩৬ শতাংশই সৌদি আরবে হয়।

দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২৬ লাখের বেশি মানুষ ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ দেশে যায়।

আর বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওমান। প্রায় ১৯ লাখ মানুষের শ্রমবাজার এ দেশটিতে রয়েছে।

এরপরের অবস্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া। সেখানে এ পর্যন্ত শ্রমিক গিয়েছে সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি। মালয়েশিয়াতে রয়েছে বাংলাদেশের নয় শতাংশের বেশি শ্রমবাজার।

বিএমইটির ওয়েবসাইটে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম ২৩ জন শ্রমিক মালয়েশিয়াতে যায়। পরের বছর কোন শ্রমিক মালয়েশিয়াতে না গেলেও ১৯৮০ সালে মাত্র তিনজন শ্রমিক সে দেশে যায়।

এরপরের দুই বছর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যায় নি কোন বাংলাদেশি। দুই বছর বাদে আবার ১৯৮৩ সালে ২৩ জন মালয়েশিয়াতে যায়। এরপরে দুই বছর আবার কোন শ্রমিক যায়নি এই দেশটিতে। কিন্তু ১৯৮৬ সালে সর্বোচ্চ ৫৩০ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যায়।

এই ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অনিয়মিতভাবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের বাংলাদেশিদের যাতায়াত চলে।

তবে, ১৯৯০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এই দেশের বাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের যাত্রা বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সময় এ শ্রমবাজার বন্ধ হলেও এখন পর্যন্ত শুধু ২০২৩ সালেই দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ শ্রমিক গিয়েছে। তিন লাখ ৫১ হাজারের বেশি মানুষ গত বছর সে দেশে যায়।

তবে, বাংলাদেশে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বায়রার বর্তমান সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম অবশ্য দাবি করছেন ১৯৯০ সালেই প্রথম মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমবাজারের যাত্রা শুরু হয়। ওই বছর তিনিই প্রথম পাঁচশো শ্রমিক পাঠান মালয়েশিয়াতে।

বিবিসি বাংলাকে মি. ইসলাম বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত বা সৌভাগ্যবশত ১৯৯০ সালে আমিই প্রথম মালয়েশিয়াতে গাছ রোপন প্রকল্পের জন্য ৫০০ লোক পাঠাই। ওইটাই শুরু। এটাই আনুষ্ঠানিক, কারণ যখন বাংলাদেশি দূতাবাস সিল দেয় তখন ওইটাই আনুষ্ঠানিক হয়।”

“পাঁচশজনের কাজ পেয়েছিলাম প্রথমে। কিন্তু সেখানকার লজিস্টিক ভালো ছিল না। শৌচাগার ছিল না, হেলথ স্যানিটেশন ছিল না বাগানের মধ্যে। ক্যাম্পিং ছিল না, খাবার ভালো ছিল না, বড় বড় মশা, বাঘ, সাপ ছিল জঙ্গলে সে সময়,” বলেন মি. ইসলাম।

এদিকে, কুয়ালালামপুর-ভিত্তিক বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক আহমেদুল কবির জানান ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫৩০ জনকে শ্রমিক হিসেবে পাম, রাবার বাগানে কাজ করার জন্য নেয়া হয়।

মি. কবিরের তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় বিএমইটির ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে।

বিবিসি বাংলাকে মি. কবির বলেন, “১৯৮৬ সালে প্রথম শ্রমিক হিসেবে ৫৩০ জনকে বাগানে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের সাথে লোক নিয়োগের আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে মালয়েশিয়া। সেই একই প্রক্রিয়ায় ওই বছরই ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তানের সাথেও চুক্তি করা হয়।”

বিএমইটির ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৯৭৮ সালের পর প্রথম সর্বোচ্চ ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ৩৮৫ জন শ্রমিক মালয়েশিয়া যায়। পরের বছর এ সংখ্যা আরো বাড়ে।

একইসাথে ১৯৯২ সালে চুক্তি হওয়ার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় সাতগুন বেড়ে যায়। পরের বছরগুলোতে এ সংখ্যা আরো বাড়ে।

এভাবেই ধীরে ধীরে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বিকশিত হলেও বিভিন্ন সময় নানা কারণে বন্ধ হয় এ বাজার।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464