ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হার দিয়ে শুরু স্বাগতিক সিলেটের শান্তর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ভর করে জিতে গেল রাজশাহী ইমন ঝড়ে স্বাগতিক সিলেটের বড় সংগ্রহ ১৯১ লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে রাজশাহী ওসমানীনগরে আলোচিত অটোরিকশা চালক শিপন হত্যাকাণ্ড প্যারিসে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘পতাকা সম্মিলন ডেঙ্গুতে ছেলের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর মারা গেলেন মা সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে নেওয়া হলো ডিবি কার্যালয়ে ফরাসি নাট্যচর্চায় বিসিএফ সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি সোয়েব মোজাম্মেল প্যারিসে ৭মবারের মতো বিসিএফ’র কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা প্রদান লন্ডনে ‘গান ও আড্ডার’ বর্ষপূর্তি উদযাপন যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের ‘আশ্রয় আবেদন’ স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন

ব্যস্ততা বাধা নয়, সময়ই উপহার: অটিজম শিশুদের পাশে বাবা-মা

রিফাত আরা রিফা : অটিজম শিশুদের বিকাশে সময়, মনোযোগ ও ভালোবাসা অতীব জরুরি।
তারা আচরণগত ও সংবেদনশীলতায় আলাদা, তাই তাদের প্রয়োজন বাড়তি ধৈর্য্য ও বোঝাপড়া।
আধুনিক জীবন যতই ব্যস্ত হোক, পরিকল্পনা ও সচেতনতা থাকলে সন্তানকে মানসম্মত সময় দেওয়া সম্ভব।

১. প্রতিদিন মাত্র ১৫-৩০ মিনিট একান্ত সময়:
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় শুধু সন্তানের জন্য রাখুন।মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপ ছাড়া।একসঙ্গে খেলুন, আঁকুন, গল্প বলুন বা তার পছন্দের কিছু করুন।

২. রুটিন তৈরি করুন:
প্রতিদিন একই সময়ে সময় দিন,যেমন সকালে বা ঘুমানোর আগে।অটিজম শিশুদের জন্য পূর্বানুমানযোগ্যতা মানসিক স্বস্তি দেয়।

৩. দৈনন্দিন কাজে সন্তানকে যুক্ত করুন:
রান্না, বাজার বা ঘরগোছার মতো কাজে তাকে ছোট দায়িত্ব দিন।এতে সময়ও কাটবে, আবার সে শিখবে সামাজিকতা ও দায়িত্ববোধ।

৪. আনন্দময় ও অর্থবহ সময় দিন:
তার আগ্রহকে গুরুত্ব দিন, আবেগ বোঝার চেষ্টা করুন।বোঝাপড়াই তার মনে নিরাপত্তা ও ভালোবাসা তৈরি করবে।

৫. সহযোগিতা নিন:
সহায়তা নিন, একা নন আপনি।স্থানীয় সাপোর্ট গ্রুপ, অনলাইন কমিউনিটিতে যুক্ত হোন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।যেমন:স্পিচ থেরাপিস্ট,বিহেভিয়ার থেরাপিস্ট ইত্যাদি।

৬. নিজের যত্ন নিন:
নিজের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা অটিজম শিশুর দেখভালে গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন।হাটাহাটি, মেডিটেশন, পছন্দের কাজ করুন।

অটিজম নিয়ে জীবনযাপন কঠিন, তবে ভালোবাসা ও ধৈর্য্যই পারে এ পথ সহজ করতে। ব্যস্ততার মাঝেও সচেতন ও পরিকল্পিত সময় দেওয়া যায়। বাবা-মায়ের ভালোবাসা, সময় ও সহানুভূতিই একটি অটিজম আক্রান্ত শিশুর জীবনের সবচেয়ে বড় সহায়।

পরামর্শদাতা : এলাহো অটিজম ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ইউএসএ

ট্যাগস :

হার দিয়ে শুরু স্বাগতিক সিলেটের শান্তর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ভর করে জিতে গেল রাজশাহী

ব্যস্ততা বাধা নয়, সময়ই উপহার: অটিজম শিশুদের পাশে বাবা-মা

আপডেট সময় ০৩:০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

রিফাত আরা রিফা : অটিজম শিশুদের বিকাশে সময়, মনোযোগ ও ভালোবাসা অতীব জরুরি।
তারা আচরণগত ও সংবেদনশীলতায় আলাদা, তাই তাদের প্রয়োজন বাড়তি ধৈর্য্য ও বোঝাপড়া।
আধুনিক জীবন যতই ব্যস্ত হোক, পরিকল্পনা ও সচেতনতা থাকলে সন্তানকে মানসম্মত সময় দেওয়া সম্ভব।

১. প্রতিদিন মাত্র ১৫-৩০ মিনিট একান্ত সময়:
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় শুধু সন্তানের জন্য রাখুন।মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপ ছাড়া।একসঙ্গে খেলুন, আঁকুন, গল্প বলুন বা তার পছন্দের কিছু করুন।

২. রুটিন তৈরি করুন:
প্রতিদিন একই সময়ে সময় দিন,যেমন সকালে বা ঘুমানোর আগে।অটিজম শিশুদের জন্য পূর্বানুমানযোগ্যতা মানসিক স্বস্তি দেয়।

৩. দৈনন্দিন কাজে সন্তানকে যুক্ত করুন:
রান্না, বাজার বা ঘরগোছার মতো কাজে তাকে ছোট দায়িত্ব দিন।এতে সময়ও কাটবে, আবার সে শিখবে সামাজিকতা ও দায়িত্ববোধ।

৪. আনন্দময় ও অর্থবহ সময় দিন:
তার আগ্রহকে গুরুত্ব দিন, আবেগ বোঝার চেষ্টা করুন।বোঝাপড়াই তার মনে নিরাপত্তা ও ভালোবাসা তৈরি করবে।

৫. সহযোগিতা নিন:
সহায়তা নিন, একা নন আপনি।স্থানীয় সাপোর্ট গ্রুপ, অনলাইন কমিউনিটিতে যুক্ত হোন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।যেমন:স্পিচ থেরাপিস্ট,বিহেভিয়ার থেরাপিস্ট ইত্যাদি।

৬. নিজের যত্ন নিন:
নিজের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা অটিজম শিশুর দেখভালে গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন।হাটাহাটি, মেডিটেশন, পছন্দের কাজ করুন।

অটিজম নিয়ে জীবনযাপন কঠিন, তবে ভালোবাসা ও ধৈর্য্যই পারে এ পথ সহজ করতে। ব্যস্ততার মাঝেও সচেতন ও পরিকল্পিত সময় দেওয়া যায়। বাবা-মায়ের ভালোবাসা, সময় ও সহানুভূতিই একটি অটিজম আক্রান্ত শিশুর জীবনের সবচেয়ে বড় সহায়।

পরামর্শদাতা : এলাহো অটিজম ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ইউএসএ