ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ ওসমানীনগর ফুটবল দলের সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়: আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি মুখোমুখি ব্যস্ততা বাধা নয়, সময়ই উপহার: অটিজম শিশুদের পাশে বাবা-মা প্যারিসে জাতীয়তাবাদী পরিবারের প্রবাসী ভোটার উদ্বুদ্ধকরন সভা প্যারিসে মতিউর রহমান মুন্নাকে সংবর্ধনা মিরপুরের আগুন পুরোপুরি নেভাতে ‘কয়েকদিন লাগতে পারে’ ফ্রান্সে “আশা এবং আমার সংগ্রাম” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে ২৩ সেনা নিহত: পাকিস্তান ইমামের সেঞ্চুরি মিস, চার ফিফটিতে নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এর উপর সন্ত্রাসী হামলা

ব্যস্ততা বাধা নয়, সময়ই উপহার: অটিজম শিশুদের পাশে বাবা-মা

রিফাত আরা রিফা : অটিজম শিশুদের বিকাশে সময়, মনোযোগ ও ভালোবাসা অতীব জরুরি।
তারা আচরণগত ও সংবেদনশীলতায় আলাদা, তাই তাদের প্রয়োজন বাড়তি ধৈর্য্য ও বোঝাপড়া।
আধুনিক জীবন যতই ব্যস্ত হোক, পরিকল্পনা ও সচেতনতা থাকলে সন্তানকে মানসম্মত সময় দেওয়া সম্ভব।

১. প্রতিদিন মাত্র ১৫-৩০ মিনিট একান্ত সময়:
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় শুধু সন্তানের জন্য রাখুন।মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপ ছাড়া।একসঙ্গে খেলুন, আঁকুন, গল্প বলুন বা তার পছন্দের কিছু করুন।

২. রুটিন তৈরি করুন:
প্রতিদিন একই সময়ে সময় দিন,যেমন সকালে বা ঘুমানোর আগে।অটিজম শিশুদের জন্য পূর্বানুমানযোগ্যতা মানসিক স্বস্তি দেয়।

৩. দৈনন্দিন কাজে সন্তানকে যুক্ত করুন:
রান্না, বাজার বা ঘরগোছার মতো কাজে তাকে ছোট দায়িত্ব দিন।এতে সময়ও কাটবে, আবার সে শিখবে সামাজিকতা ও দায়িত্ববোধ।

৪. আনন্দময় ও অর্থবহ সময় দিন:
তার আগ্রহকে গুরুত্ব দিন, আবেগ বোঝার চেষ্টা করুন।বোঝাপড়াই তার মনে নিরাপত্তা ও ভালোবাসা তৈরি করবে।

৫. সহযোগিতা নিন:
সহায়তা নিন, একা নন আপনি।স্থানীয় সাপোর্ট গ্রুপ, অনলাইন কমিউনিটিতে যুক্ত হোন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।যেমন:স্পিচ থেরাপিস্ট,বিহেভিয়ার থেরাপিস্ট ইত্যাদি।

৬. নিজের যত্ন নিন:
নিজের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা অটিজম শিশুর দেখভালে গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন।হাটাহাটি, মেডিটেশন, পছন্দের কাজ করুন।

অটিজম নিয়ে জীবনযাপন কঠিন, তবে ভালোবাসা ও ধৈর্য্যই পারে এ পথ সহজ করতে। ব্যস্ততার মাঝেও সচেতন ও পরিকল্পিত সময় দেওয়া যায়। বাবা-মায়ের ভালোবাসা, সময় ও সহানুভূতিই একটি অটিজম আক্রান্ত শিশুর জীবনের সবচেয়ে বড় সহায়।

পরামর্শদাতা : এলাহো অটিজম ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ইউএসএ

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ ওসমানীনগর ফুটবল দলের সংবাদ সম্মেলন

ব্যস্ততা বাধা নয়, সময়ই উপহার: অটিজম শিশুদের পাশে বাবা-মা

আপডেট সময় ০৩:০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

রিফাত আরা রিফা : অটিজম শিশুদের বিকাশে সময়, মনোযোগ ও ভালোবাসা অতীব জরুরি।
তারা আচরণগত ও সংবেদনশীলতায় আলাদা, তাই তাদের প্রয়োজন বাড়তি ধৈর্য্য ও বোঝাপড়া।
আধুনিক জীবন যতই ব্যস্ত হোক, পরিকল্পনা ও সচেতনতা থাকলে সন্তানকে মানসম্মত সময় দেওয়া সম্ভব।

১. প্রতিদিন মাত্র ১৫-৩০ মিনিট একান্ত সময়:
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় শুধু সন্তানের জন্য রাখুন।মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপ ছাড়া।একসঙ্গে খেলুন, আঁকুন, গল্প বলুন বা তার পছন্দের কিছু করুন।

২. রুটিন তৈরি করুন:
প্রতিদিন একই সময়ে সময় দিন,যেমন সকালে বা ঘুমানোর আগে।অটিজম শিশুদের জন্য পূর্বানুমানযোগ্যতা মানসিক স্বস্তি দেয়।

৩. দৈনন্দিন কাজে সন্তানকে যুক্ত করুন:
রান্না, বাজার বা ঘরগোছার মতো কাজে তাকে ছোট দায়িত্ব দিন।এতে সময়ও কাটবে, আবার সে শিখবে সামাজিকতা ও দায়িত্ববোধ।

৪. আনন্দময় ও অর্থবহ সময় দিন:
তার আগ্রহকে গুরুত্ব দিন, আবেগ বোঝার চেষ্টা করুন।বোঝাপড়াই তার মনে নিরাপত্তা ও ভালোবাসা তৈরি করবে।

৫. সহযোগিতা নিন:
সহায়তা নিন, একা নন আপনি।স্থানীয় সাপোর্ট গ্রুপ, অনলাইন কমিউনিটিতে যুক্ত হোন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।যেমন:স্পিচ থেরাপিস্ট,বিহেভিয়ার থেরাপিস্ট ইত্যাদি।

৬. নিজের যত্ন নিন:
নিজের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা অটিজম শিশুর দেখভালে গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন।হাটাহাটি, মেডিটেশন, পছন্দের কাজ করুন।

অটিজম নিয়ে জীবনযাপন কঠিন, তবে ভালোবাসা ও ধৈর্য্যই পারে এ পথ সহজ করতে। ব্যস্ততার মাঝেও সচেতন ও পরিকল্পিত সময় দেওয়া যায়। বাবা-মায়ের ভালোবাসা, সময় ও সহানুভূতিই একটি অটিজম আক্রান্ত শিশুর জীবনের সবচেয়ে বড় সহায়।

পরামর্শদাতা : এলাহো অটিজম ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ইউএসএ


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471