ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মব সৃষ্টি করে পুলিশ সদস্যকে পেটালেন রিকশাচালকরা একজন প্রাথমিক শিক্ষকের স্বরূপ : বাস্তবতা এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আবুধাবিতে লটারিতে ২০ মিলিয়ন দিরহাম জিতলেন বাংলাদেশি হারুন প্যারিসে জাতীয়তাবাদী ঐক্য ফোরাম ফ্রান্স, বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার কর্মী সভা সম্পন্ন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব: ২০২৬ নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক করার একটি পথ এবার জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল আফ্রিকার আরেক দেশ বাবার রাজকন্যা আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সৈয়দ কামরুল হাসান ও গোলাম শফিক খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতা নিয়ে যা বলছে সেনাবাহিনী নবীগঞ্জ-বাহুবলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে ঢাকায় মানববন্ধন

অবশেষে ডিভোর্সের কথা জানিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ড. জাহেদ

অভিবাসন ডেস্ক :: চলমান রাজনৈতিক আবহের মধ্যেই নিজের দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েন ও ডিভোর্স নিয়ে চলমান বিতর্কে জর্জরিত হয়ে পড়েন লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান। অবশেষে সেই বিতর্ক নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন তিনি।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রাক্তন স্ত্রীর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন ড. জাহেদ।

তিনি লিখেছেন, ‘আমার স্ত্রী আনা নাসরিন সাম্প্রতিক সময়ে আমাকে জড়িয়ে যেসব কথা বলেছেন এবং সেটা নিয়ে অনেকেই যেসব স্পেকুলেশন করছেন, সেসব নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সামাজিক মাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেব না আমি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কথা বলার চর্চাকে আমি অরুচিকর বলে মনে করি।’

ড. জাহেদ বলেন, ‘আমাকে কেউ কোনোভাবে ব্ল্যাকমেইল করে কিছু করাচ্ছে বা বলাচ্ছে- এমন দাবি সর্বৈব মিথ্যা, যার মাধ্যমে আমার এক্টিভিজমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে নানা মহল থেকে। ব্ল্যাকমেইল করা যাবে, এমন কোনো দুর্বলতা আমার নেই।’

গত ১৭ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে ডিভোর্সের নোটিস পাঠিয়েছেন জানিয়ে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ‘বিষয়টি সাম্প্রতিক উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে নয়; দীর্ঘদিন থেকে এমন পরিস্থিতিতে ছিলাম আমরা। তার কোনো সাম্প্রতিক এবং ভবিষ্যত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো রকম সম্পৃক্ততা নেই’।

সবশেষে তিনি স্ত্রীর মঙ্গল কামনা করে বলেন, ‘আমি আনা নাসরিনের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ এবং সফল জীবন কামনা করছি।’

এদিকে আনা নাসরিন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘Husband’ শব্দটির একটি যথাযথ বাংলা প্রতিশব্দ প্রস্তাব করুন। যথাযথ বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজে পেলে আমি সর্বদা ইংরেজি শব্দ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের প্রচলিত ভাষায় এমন শব্দ খুব কম, যা প্রকৃত সম্পর্কের মর্যাদা, সমতা ও মানবিক অর্থ বহন করে।

তিনি বলেন, কুচক্রী মহল ইচ্ছাকৃতভাবে ‘দাম্পত্য সঙ্গী’ শব্দটিকে বিকৃত করে ‘লিভিং পার্টনার’ অর্থে প্রয়োগ করছে। নিতান্ত বাধ্য হয়ে আদালতে ‘স্বামী’ শব্দটি ব্যবহার করলেও এই শব্দটির প্রতি আমার তীব্র অশ্রদ্ধা রয়েছে। কারণ ‘স্বামী’ শব্দের আভিধানিক অর্থ— প্রভু, পতি, মনিব, অধিপতি, ভূপতি, মালিক, পরমহংস। যা নারীকে সমান মর্যাদার সঙ্গী হিসেবে নয়, বরং অধীনস্ত হিসেবে উপস্থাপন করে।

আনা নাসরিন আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি—যে সম্পর্ক ভালোবাসা, সম্মান ও সমতার ওপর প্রতিষ্ঠিত, তার জন্য নতুন শব্দচর্চা জরুরি। ভাষা বদলালে সমাজও বদলাবে।’

সেইসঙ্গে পোস্টে তিনি দাম্পত্য, সমতা, ভাষাচর্চা ও নারীরমর্যাদা শব্দগুলোকে হ্যাশট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

ট্যাগস :

মব সৃষ্টি করে পুলিশ সদস্যকে পেটালেন রিকশাচালকরা

অবশেষে ডিভোর্সের কথা জানিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ড. জাহেদ

আপডেট সময় ০৩:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অভিবাসন ডেস্ক :: চলমান রাজনৈতিক আবহের মধ্যেই নিজের দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েন ও ডিভোর্স নিয়ে চলমান বিতর্কে জর্জরিত হয়ে পড়েন লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান। অবশেষে সেই বিতর্ক নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন তিনি।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রাক্তন স্ত্রীর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন ড. জাহেদ।

তিনি লিখেছেন, ‘আমার স্ত্রী আনা নাসরিন সাম্প্রতিক সময়ে আমাকে জড়িয়ে যেসব কথা বলেছেন এবং সেটা নিয়ে অনেকেই যেসব স্পেকুলেশন করছেন, সেসব নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সামাজিক মাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেব না আমি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কথা বলার চর্চাকে আমি অরুচিকর বলে মনে করি।’

ড. জাহেদ বলেন, ‘আমাকে কেউ কোনোভাবে ব্ল্যাকমেইল করে কিছু করাচ্ছে বা বলাচ্ছে- এমন দাবি সর্বৈব মিথ্যা, যার মাধ্যমে আমার এক্টিভিজমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে নানা মহল থেকে। ব্ল্যাকমেইল করা যাবে, এমন কোনো দুর্বলতা আমার নেই।’

গত ১৭ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে ডিভোর্সের নোটিস পাঠিয়েছেন জানিয়ে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ‘বিষয়টি সাম্প্রতিক উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে নয়; দীর্ঘদিন থেকে এমন পরিস্থিতিতে ছিলাম আমরা। তার কোনো সাম্প্রতিক এবং ভবিষ্যত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো রকম সম্পৃক্ততা নেই’।

সবশেষে তিনি স্ত্রীর মঙ্গল কামনা করে বলেন, ‘আমি আনা নাসরিনের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ এবং সফল জীবন কামনা করছি।’

এদিকে আনা নাসরিন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘Husband’ শব্দটির একটি যথাযথ বাংলা প্রতিশব্দ প্রস্তাব করুন। যথাযথ বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজে পেলে আমি সর্বদা ইংরেজি শব্দ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের প্রচলিত ভাষায় এমন শব্দ খুব কম, যা প্রকৃত সম্পর্কের মর্যাদা, সমতা ও মানবিক অর্থ বহন করে।

তিনি বলেন, কুচক্রী মহল ইচ্ছাকৃতভাবে ‘দাম্পত্য সঙ্গী’ শব্দটিকে বিকৃত করে ‘লিভিং পার্টনার’ অর্থে প্রয়োগ করছে। নিতান্ত বাধ্য হয়ে আদালতে ‘স্বামী’ শব্দটি ব্যবহার করলেও এই শব্দটির প্রতি আমার তীব্র অশ্রদ্ধা রয়েছে। কারণ ‘স্বামী’ শব্দের আভিধানিক অর্থ— প্রভু, পতি, মনিব, অধিপতি, ভূপতি, মালিক, পরমহংস। যা নারীকে সমান মর্যাদার সঙ্গী হিসেবে নয়, বরং অধীনস্ত হিসেবে উপস্থাপন করে।

আনা নাসরিন আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি—যে সম্পর্ক ভালোবাসা, সম্মান ও সমতার ওপর প্রতিষ্ঠিত, তার জন্য নতুন শব্দচর্চা জরুরি। ভাষা বদলালে সমাজও বদলাবে।’

সেইসঙ্গে পোস্টে তিনি দাম্পত্য, সমতা, ভাষাচর্চা ও নারীরমর্যাদা শব্দগুলোকে হ্যাশট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।