ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গণপরিবহণে হয়রানির শিকার ৮৭ শতাংশ নারী উইশ ফাউন্ডেশনের নাসিমা ইসলামের ঝুলিতে টাওয়ার হ্যামলেটস সিভিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে! প্রয়াত চেয়ারম্যান সৈয়দ কওছর আহমদ স্মরণে ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিল সিলেট টেস্টে দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠেই হেরে গেল টাইগাররা ফ্রান্সে অভিবাসীদের সেবার প্রত্যয়ে ফ্রাঙ্কো-বাংলা স্কুলের নতুন অফিসের উদ্বোধন সিলেট জেলার শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বাংলাদেশের বাঁধ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ, সীমান্তে প্রতিনিধিদল গ্রিসে ‘বাংলা কাগজ সম্মাননা’ পেলেন সাংবাদিক সোহেলসহ ২০ প্রবাসী

গণপরিবহণে হয়রানির শিকার ৮৭ শতাংশ নারী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

অভিবাসন ডেস্ক :: দেশে গণপরিবহণে যাতায়াতকালে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিক ও অন্যভাবে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। আর যৌন হয়রানির শিকার হন ৩৬ শতাংশ নারী।

বৃহস্পতিবার ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে (ডিটিসিএ) আয়োজিত ‘গণপরিবহণে নারীর সম্মান রাখুন’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নারীদের বাসে চলাচলের বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটিকায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ইউএন উইমেন্স এবং সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় এই ক্যাম্পেইন হয়। অনুষ্ঠানে গণপরিবহণে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা এবং আচরণগত পরিবর্তন করতে ১৬১ জন বাসচালক ও কন্ডাক্টরকে প্রশিক্ষণ এবং সনদ দেওয়া হয়।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, নিরাপদে চলা নারীর মৌলিক অধিকার। সে যেখানেই থাকুক, যে কাপড় পরে থাকুক বা যে কোনো অবস্থায় থাকুক তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমাজের দায়িত্ব। সেটা না করতে পারলে সমাজের জন্য লজ্জার বিষয়।

সুইডেন রাষ্ট্রদূত এইচ ই নিকোলাস উইকস বলেন, উন্মক্ত স্থানগুলোতে নারীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। নারীর সুরক্ষা বিঘ্নিত হলে একটি পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, পুরো সমাজ ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নারীবান্ধব নীতি প্রণয়ন করতে হবে।

ইউএন উইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ গীতাঞ্জলি সিং বলেন, নারী ও মেয়েদের অবাধে, নিরাপদে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় চলাফেরা করার অধিকার রয়েছে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, গণপরিবহণে যৌন হয়রানি রোধ করা আমাদের দায়িত্ব। অনেক সময়, হয়রানির সাক্ষী হয়েও আমরা নীরব থাকি। কিন্তু নীরবতাই সমাধান নয়। আমাদের কথা বলতে হবে।

ডিটিসিএ নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, গণপরিবহণে নারীদের সম্মান করতে হবে। নারীদের নিজেদেরও এ বিষয়গুলোতে প্রতিবাদ করতে হবে। সেজন্য সমাজের অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।

ট্যাগস :

গণপরিবহণে হয়রানির শিকার ৮৭ শতাংশ নারী

গণপরিবহণে হয়রানির শিকার ৮৭ শতাংশ নারী

আপডেট সময় ০৪:৩৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

অভিবাসন ডেস্ক :: দেশে গণপরিবহণে যাতায়াতকালে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিক ও অন্যভাবে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। আর যৌন হয়রানির শিকার হন ৩৬ শতাংশ নারী।

বৃহস্পতিবার ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে (ডিটিসিএ) আয়োজিত ‘গণপরিবহণে নারীর সম্মান রাখুন’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নারীদের বাসে চলাচলের বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটিকায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ইউএন উইমেন্স এবং সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় এই ক্যাম্পেইন হয়। অনুষ্ঠানে গণপরিবহণে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা এবং আচরণগত পরিবর্তন করতে ১৬১ জন বাসচালক ও কন্ডাক্টরকে প্রশিক্ষণ এবং সনদ দেওয়া হয়।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, নিরাপদে চলা নারীর মৌলিক অধিকার। সে যেখানেই থাকুক, যে কাপড় পরে থাকুক বা যে কোনো অবস্থায় থাকুক তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমাজের দায়িত্ব। সেটা না করতে পারলে সমাজের জন্য লজ্জার বিষয়।

সুইডেন রাষ্ট্রদূত এইচ ই নিকোলাস উইকস বলেন, উন্মক্ত স্থানগুলোতে নারীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। নারীর সুরক্ষা বিঘ্নিত হলে একটি পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, পুরো সমাজ ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নারীবান্ধব নীতি প্রণয়ন করতে হবে।

ইউএন উইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ গীতাঞ্জলি সিং বলেন, নারী ও মেয়েদের অবাধে, নিরাপদে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় চলাফেরা করার অধিকার রয়েছে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, গণপরিবহণে যৌন হয়রানি রোধ করা আমাদের দায়িত্ব। অনেক সময়, হয়রানির সাক্ষী হয়েও আমরা নীরব থাকি। কিন্তু নীরবতাই সমাধান নয়। আমাদের কথা বলতে হবে।

ডিটিসিএ নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, গণপরিবহণে নারীদের সম্মান করতে হবে। নারীদের নিজেদেরও এ বিষয়গুলোতে প্রতিবাদ করতে হবে। সেজন্য সমাজের অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।