ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিমির পেট থেকে বেঁচে ফিরে অভিজ্ঞতা জানালেন তরুণ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি: ডেইলি মিরর

অভিবাসন ডেস্ক :: চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় সাগরে একটি বিশাল হাম্পব্যাক তিমি এক কায়াকারকে গিলে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আবার অক্ষত অবস্থায় মুখ থেকে ছুড়ে দিয়েছে। ওই কায়াকারের নাম আদ্রিয়ান সিমানকাস।

আদ্রিয়ানের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার। চিলির মাগেলান প্রণালিতে বাবার সঙ্গে কায়াকিং করছিলেন আদ্রিয়ান। এসময় একটি তিমি ভেসে ওঠে আদ্রিয়ানকে মুখের মধ্যে পুরে নেয় আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ছুড়ে বের করে দেয়।

ছেলে এত বড় বিপদের মুখে পড়লেও বাবা ছিলেন এ সময় একেবারে শান্ত। তিনি পুরো ঘটনাটি মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন। সেই ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, হলুদ রঙের কায়াকে বসে বইঠা বাইছেন আদ্রিয়ান। হঠাৎ সমুদ্র থেকে একটি তিমি ভেসে ওঠে। এরপর তিমিটি আদ্রিয়ানকে গিলে ফেলে। কিছুক্ষণ পরই আদ্রিয়ানকে আবার পানিতে ভেসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার বাবা ছেলের উদ্দেশে বলছিলেন, ‘ধৈর্য ধরো, শান্ত থাকো।’

তিমির পেটে কয়েক মুহূর্ত থাকার পর আদ্রিয়ান আবার পানিতে ভেসে উঠলে দ্রুত তার কাছাকাছি যান বাবা। তিনি আদ্রিয়ানকে টেনে তার কায়াকে তোলেন। এরপর বাবা-ছেলে মিলে তীরে ফেরেন। তবে এ ঘটনায় দুজনের কেউই আহত হননি।

ভয়াল সে মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে আদ্রিয়ান বলেন, ‘তিমিটি আমাকে খেয়ে ফেলবে মনে করেছিলাম। কিন্ত একপর্যায়ে তিমির পেট থেকে বেরিয়ে আসি। এ সময় ভয় আরও বাড়ে। তখন একটা কথাই মনে হচ্ছিল, যদি ঠিক সময়ে তীরে ফিরতে না পারি।’

‘আমি এমন অনুভব করছিলাম যেন আমাকে উপরে তোলা হচ্ছে, কিন্তু এটি পরিষ্কারভাবে একটি ঢেউ থেকে অনেক শক্তিশালী ছিল। যখন আমি পেছনে তাকালাম, নীল ও সাদা কিছু একটা আমার মুখের খুব কাছ দিয়ে চলে যাচ্ছে অনুভব করলাম। কী হচ্ছে আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না। এরপর সবকিছু, আমি নিচে চলে গেলাম আর ভাবলাম আমাকে গিলে ফেলা হয়েছে।’, বলেন তিনি।

তার বাবা ডেল সিমানকাস বলেন, ‘আমি ক্যামেরা চালু করার পর আমার পেছনে সজোরে একটি ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ পেলাম। আমি পেছনে ঘুরে কিছুই দেখলাম না। তখনই ভয় পেলাম যখন আদ্রিয়ানকে আর দেখলাম না। তিন সেকেন্ড পর সে হঠাৎ ছিটকে এল কায়কটি ছাড়াই। এর এক সেকেন্ড পর কায়কটি ভেসে উঠল আর তখন আমি কিছু একটার পাখনা দেখলাম।’

পূর্ণবয়স্ক হাম্পব্যাক তিমি দৈর্ঘ্যে ৪৬ থেকে ৫৬ ফুট পর্যন্ত এবং ভর ৪০ টনের মতো হয়ে থাকে। এসব তিমি ছোট মাছ ও ছোট চিংড়িজাতীয় প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।

সূত্র: বিবিসি ও ডেইলি মিরর

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা, গেজেট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন

তিমির পেট থেকে বেঁচে ফিরে অভিজ্ঞতা জানালেন তরুণ

আপডেট সময় ০৯:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অভিবাসন ডেস্ক :: চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় সাগরে একটি বিশাল হাম্পব্যাক তিমি এক কায়াকারকে গিলে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আবার অক্ষত অবস্থায় মুখ থেকে ছুড়ে দিয়েছে। ওই কায়াকারের নাম আদ্রিয়ান সিমানকাস।

আদ্রিয়ানের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার। চিলির মাগেলান প্রণালিতে বাবার সঙ্গে কায়াকিং করছিলেন আদ্রিয়ান। এসময় একটি তিমি ভেসে ওঠে আদ্রিয়ানকে মুখের মধ্যে পুরে নেয় আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ছুড়ে বের করে দেয়।

ছেলে এত বড় বিপদের মুখে পড়লেও বাবা ছিলেন এ সময় একেবারে শান্ত। তিনি পুরো ঘটনাটি মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন। সেই ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, হলুদ রঙের কায়াকে বসে বইঠা বাইছেন আদ্রিয়ান। হঠাৎ সমুদ্র থেকে একটি তিমি ভেসে ওঠে। এরপর তিমিটি আদ্রিয়ানকে গিলে ফেলে। কিছুক্ষণ পরই আদ্রিয়ানকে আবার পানিতে ভেসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার বাবা ছেলের উদ্দেশে বলছিলেন, ‘ধৈর্য ধরো, শান্ত থাকো।’

তিমির পেটে কয়েক মুহূর্ত থাকার পর আদ্রিয়ান আবার পানিতে ভেসে উঠলে দ্রুত তার কাছাকাছি যান বাবা। তিনি আদ্রিয়ানকে টেনে তার কায়াকে তোলেন। এরপর বাবা-ছেলে মিলে তীরে ফেরেন। তবে এ ঘটনায় দুজনের কেউই আহত হননি।

ভয়াল সে মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে আদ্রিয়ান বলেন, ‘তিমিটি আমাকে খেয়ে ফেলবে মনে করেছিলাম। কিন্ত একপর্যায়ে তিমির পেট থেকে বেরিয়ে আসি। এ সময় ভয় আরও বাড়ে। তখন একটা কথাই মনে হচ্ছিল, যদি ঠিক সময়ে তীরে ফিরতে না পারি।’

‘আমি এমন অনুভব করছিলাম যেন আমাকে উপরে তোলা হচ্ছে, কিন্তু এটি পরিষ্কারভাবে একটি ঢেউ থেকে অনেক শক্তিশালী ছিল। যখন আমি পেছনে তাকালাম, নীল ও সাদা কিছু একটা আমার মুখের খুব কাছ দিয়ে চলে যাচ্ছে অনুভব করলাম। কী হচ্ছে আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না। এরপর সবকিছু, আমি নিচে চলে গেলাম আর ভাবলাম আমাকে গিলে ফেলা হয়েছে।’, বলেন তিনি।

তার বাবা ডেল সিমানকাস বলেন, ‘আমি ক্যামেরা চালু করার পর আমার পেছনে সজোরে একটি ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ পেলাম। আমি পেছনে ঘুরে কিছুই দেখলাম না। তখনই ভয় পেলাম যখন আদ্রিয়ানকে আর দেখলাম না। তিন সেকেন্ড পর সে হঠাৎ ছিটকে এল কায়কটি ছাড়াই। এর এক সেকেন্ড পর কায়কটি ভেসে উঠল আর তখন আমি কিছু একটার পাখনা দেখলাম।’

পূর্ণবয়স্ক হাম্পব্যাক তিমি দৈর্ঘ্যে ৪৬ থেকে ৫৬ ফুট পর্যন্ত এবং ভর ৪০ টনের মতো হয়ে থাকে। এসব তিমি ছোট মাছ ও ছোট চিংড়িজাতীয় প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।

সূত্র: বিবিসি ও ডেইলি মিরর


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464