ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকার উদ্দেশে রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা কবি দাউদ হায়দারের নির্বাসিত জীবনের চিরমুক্তি সিলেটে কার্গো ফ্লাইটে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার গুজরাটে ১ হাজার বাংলাদেশি গ্রেপ্তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকদের বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন দুই কাশ্মীরি কন্যা গণপরিবহণে হয়রানির শিকার ৮৭ শতাংশ নারী উইশ ফাউন্ডেশনের নাসিমা ইসলামের ঝুলিতে টাওয়ার হ্যামলেটস সিভিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে! প্রয়াত চেয়ারম্যান সৈয়দ কওছর আহমদ স্মরণে ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিল সিলেট টেস্টে দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যু

সিলেটে কার্গো ফ্লাইটে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:১৪:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

অভিবাসন ডেস্ক :: সিলেট থেকে উড়ছে কার্গো ফ্লাইট। গন্তব্য ইউরোপ। । তবে এখনই সুফল পাচ্ছে না সিলেটের পণ্য। ধীরে ধীরে সিলেটের কাঁচামাল সহ নানা পণ্যের দুয়ার খুলবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। এজন্য ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। তাদের মতে; নানা প্রতিবন্ধকতা থাকবে। এই বাধা উৎরে সিলেটের পণ্যকে বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে হবে। এজন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহুল প্রতীক্ষিত কার্গো হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক্সপোর্ট কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ হয়। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস), ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন ও এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেকশন মেশিনের সুবিধা। হাউসের ধারণক্ষমতা প্রায় ১০০ টন। এখান থেকে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় ৬০ টন পণ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ওসমানী থেকে স্পেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে কার্গো বিমান। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ওসমানী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান- কার্গো ফ্লাইটের উদ্বোধন উপলক্ষে সন্ধ্যা ৬টায় ওসমানী বিমানবন্দরে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, সচিব নাসরীন জাহান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এবং মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী দিনে ঢাকার এমজিএইচ গ্রুপ, অরিজিন সলিউশন্সসহ আরেকটি কোম্পানি তাদের পণ্য রপ্তানি করছে।

এসব কোম্পানির মালামাল ট্রাকযোগে ওসমানী বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে গেছে। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে- বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য প্রথম উদ্যোগ হিসেবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো সেবা চালু করছে। এতে সুবিধা পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা প্রটোকলের কারণে এতদিন একমাত্র ভরসা ছিল ঢাকার শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানেও বর্তমানে অতিরিক্ত চাপ। এমন পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্প রপ্তানি জোন হিসেবে কাজ করবে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন কার্গো টার্মিনাল। প্রাথমিকভাবে ১০০ টন ধারণক্ষমতার এই টার্মিনাল ২০২২ সালে কার্গো পরিবহনের জন্য উপযুক্ত স্বীকৃতি পেলেও তখন ঢাকায় চাপ কম থাকায় সিলেটমুখী হননি রপ্তানিকারকরা।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালুর সিদ্বান্ত নেয়া হয়। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো নির্মাণের ধারণা এসেছে ভিন্ন কারণে। ব্যবসায়ীদের মতে- ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে বিপুলসংখ্যক সিলেটি প্রবাসী থাকায় ওইসব দেশে সিলেটি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিলেটের মাছ, শাক-সবজি সহ নানা পণ্য। চাহিদা রয়েছে পোশাকেরও। এ সব দিক বিবেচনা করে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে কার্গো হাউসের দাবি নিয়ে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। সিলেটের ব্যবসায়ী ও যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে এই কার্গো হাউস নির্মাণ এবং কার্গো ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এখন যেসব পণ্য সিলেট থেকে যাবে সেগুলো হচ্ছে গার্মেন্ট শিল্প। ঢাকার ব্যবসায়ীরা ঢাকার পরিবর্তে সিলেটকে রুট হিসেবে ব্যবহার করবেন। পরবর্তীতে এই সুবিধা সিলেটের ব্যবসায়ীরা নেবেন। সিলেট থেকে মালামাল পাঠানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে- প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব স্থাপন। এর জন্য এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব না হওয়া পর্যন্ত সিলেটের পণ্য আর্ন্তজাতিক বাজারে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। এ নিয়ে সরকারের তরফ থেকে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে- সিলেটে প্যাকিং হাউজ না থাকায় এখানকার রপ্তানিকারদের ঢাকার শ্যামপুরস্থ প্যাকিং হাউজ থেকে কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে হয়। ঢাকা থেকে পণ্য রপ্তানি সিলেটের রপ্তানিকারকদের জন্য ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। সিলেটে প্রিকুলিং চেম্বার, টেস্টিং ল্যাব ও শর্টিং সুবিধাসহ প্যাকিং হাউজ নির্মিত হলে রপ্তানিকারদের ঢাকায় যাবার ভোগান্তি দূর হবে। ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ে সমপ্রসারিত হচ্ছে। সিলেট থেকে লন্ডন, ম্যানচেস্টার এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সরাসরি ফ্লাইট যাচ্ছে। এজন্য এখানে প্যাকিং হাউজ নির্মাণ সময়ের দাবি। সিলেটের রপ্তানিকারক ও বাংলাদশে ফ্লাইট ফরওয়ার্ডারস এসোসিয়েশন (বাফা) সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাব-কমিটির চেয়ারম্যান হিজকিল গুলজার শনিবার বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- এখন গার্মেন্টস পণ্য যাচ্ছে। এতে আমরা খুশি। যদি এই ফ্লাইট চালু থাকে তাহলে ক্রমান্বয়ে আমরা সিলেটের পণ্য বিশ্ব বাজারে পৌঁছাতে পারবো। এক্ষেত্রে প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব স্থাপনের দাবি জোরালো হচ্ছে। এখন সেটি ভাড়া করা স্থানে করা সম্ভব। পরবর্তীতে সেটির স্থায়ী রূপ দেয়া হবে। এ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

ঢাকার উদ্দেশে রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

সিলেটে কার্গো ফ্লাইটে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার

আপডেট সময় ০২:১৪:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

অভিবাসন ডেস্ক :: সিলেট থেকে উড়ছে কার্গো ফ্লাইট। গন্তব্য ইউরোপ। । তবে এখনই সুফল পাচ্ছে না সিলেটের পণ্য। ধীরে ধীরে সিলেটের কাঁচামাল সহ নানা পণ্যের দুয়ার খুলবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। এজন্য ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। তাদের মতে; নানা প্রতিবন্ধকতা থাকবে। এই বাধা উৎরে সিলেটের পণ্যকে বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে হবে। এজন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহুল প্রতীক্ষিত কার্গো হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক্সপোর্ট কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ হয়। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস), ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন ও এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেকশন মেশিনের সুবিধা। হাউসের ধারণক্ষমতা প্রায় ১০০ টন। এখান থেকে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় ৬০ টন পণ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ওসমানী থেকে স্পেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে কার্গো বিমান। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ওসমানী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান- কার্গো ফ্লাইটের উদ্বোধন উপলক্ষে সন্ধ্যা ৬টায় ওসমানী বিমানবন্দরে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, সচিব নাসরীন জাহান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এবং মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী দিনে ঢাকার এমজিএইচ গ্রুপ, অরিজিন সলিউশন্সসহ আরেকটি কোম্পানি তাদের পণ্য রপ্তানি করছে।

এসব কোম্পানির মালামাল ট্রাকযোগে ওসমানী বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে গেছে। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে- বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য প্রথম উদ্যোগ হিসেবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো সেবা চালু করছে। এতে সুবিধা পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা প্রটোকলের কারণে এতদিন একমাত্র ভরসা ছিল ঢাকার শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানেও বর্তমানে অতিরিক্ত চাপ। এমন পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্প রপ্তানি জোন হিসেবে কাজ করবে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন কার্গো টার্মিনাল। প্রাথমিকভাবে ১০০ টন ধারণক্ষমতার এই টার্মিনাল ২০২২ সালে কার্গো পরিবহনের জন্য উপযুক্ত স্বীকৃতি পেলেও তখন ঢাকায় চাপ কম থাকায় সিলেটমুখী হননি রপ্তানিকারকরা।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালুর সিদ্বান্ত নেয়া হয়। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো নির্মাণের ধারণা এসেছে ভিন্ন কারণে। ব্যবসায়ীদের মতে- ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে বিপুলসংখ্যক সিলেটি প্রবাসী থাকায় ওইসব দেশে সিলেটি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিলেটের মাছ, শাক-সবজি সহ নানা পণ্য। চাহিদা রয়েছে পোশাকেরও। এ সব দিক বিবেচনা করে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে কার্গো হাউসের দাবি নিয়ে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। সিলেটের ব্যবসায়ী ও যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে এই কার্গো হাউস নির্মাণ এবং কার্গো ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এখন যেসব পণ্য সিলেট থেকে যাবে সেগুলো হচ্ছে গার্মেন্ট শিল্প। ঢাকার ব্যবসায়ীরা ঢাকার পরিবর্তে সিলেটকে রুট হিসেবে ব্যবহার করবেন। পরবর্তীতে এই সুবিধা সিলেটের ব্যবসায়ীরা নেবেন। সিলেট থেকে মালামাল পাঠানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে- প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব স্থাপন। এর জন্য এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব না হওয়া পর্যন্ত সিলেটের পণ্য আর্ন্তজাতিক বাজারে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। এ নিয়ে সরকারের তরফ থেকে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে- সিলেটে প্যাকিং হাউজ না থাকায় এখানকার রপ্তানিকারদের ঢাকার শ্যামপুরস্থ প্যাকিং হাউজ থেকে কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে হয়। ঢাকা থেকে পণ্য রপ্তানি সিলেটের রপ্তানিকারকদের জন্য ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। সিলেটে প্রিকুলিং চেম্বার, টেস্টিং ল্যাব ও শর্টিং সুবিধাসহ প্যাকিং হাউজ নির্মিত হলে রপ্তানিকারদের ঢাকায় যাবার ভোগান্তি দূর হবে। ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ে সমপ্রসারিত হচ্ছে। সিলেট থেকে লন্ডন, ম্যানচেস্টার এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সরাসরি ফ্লাইট যাচ্ছে। এজন্য এখানে প্যাকিং হাউজ নির্মাণ সময়ের দাবি। সিলেটের রপ্তানিকারক ও বাংলাদশে ফ্লাইট ফরওয়ার্ডারস এসোসিয়েশন (বাফা) সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাব-কমিটির চেয়ারম্যান হিজকিল গুলজার শনিবার বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- এখন গার্মেন্টস পণ্য যাচ্ছে। এতে আমরা খুশি। যদি এই ফ্লাইট চালু থাকে তাহলে ক্রমান্বয়ে আমরা সিলেটের পণ্য বিশ্ব বাজারে পৌঁছাতে পারবো। এক্ষেত্রে প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব স্থাপনের দাবি জোরালো হচ্ছে। এখন সেটি ভাড়া করা স্থানে করা সম্ভব। পরবর্তীতে সেটির স্থায়ী রূপ দেয়া হবে। এ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471