নাজমা জাহান নাজু :: বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়াতে বিনামূল্যে যেতে কিছু বিশেষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যদিও একেবারে “ফ্রি” যাওয়া সম্ভব নয়। তবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসংস্থান বা স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কম খরচে যাওয়া যেতে পারে। কিছু সাধারণ ধাপ নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. ইপিএস (EPS) প্রোগ্রাম: দক্ষিণ কোরিয়া সরকার শ্রমিকদের জন্য Employment Permit System (EPS) প্রোগ্রাম চালু করেছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মীরা এই প্রোগ্রামের অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজ করার সুযোগ পেতে পারে।
বয়স: ১৮-৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
কোরিয়ান ভাষা শেখা: প্রাথমিক পর্যায়ে কোরিয়ান ভাষার পরীক্ষা (EPS-TOPIK) দিতে হবে।
পরীক্ষা পাস: ভাষার পরীক্ষা পাস করার পর, মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
চাকরি খোঁজা: দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়োগদাতারা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ করে।
২. স্কলারশিপ বা পড়াশুনার সুযোগ: দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বা কম খরচে পড়াশোনার সুযোগ পেতে পারে।
GKS (Global Korea Scholarship): এটি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সরকারি স্কলারশিপ, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে পারে।
ভর্তি পরীক্ষা ও কাগজপত্র: প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
৩. সরকারি ও এনজিও প্রোগ্রাম: কিছু সরকারি বা এনজিও প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিনামূল্যে দক্ষতার প্রশিক্ষণ ও চাকরির ব্যবস্থা করা হয়, যা মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে পারে।
তবে এই প্রক্রিয়াগুলোর জন্য কিছু খরচ থাকতে পারে, যেমন মেডিক্যাল, ভিসা প্রসেসিং ফি, বা বিমান টিকেট।