পরীক্ষামূলক প্রকাশনা | ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ফ্রি মেডিক্যাল সেবা বংশালে অনুষ্ঠিত গোয়ালাবাজারে গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভেজা মাঠের কারণে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ টেস্টের টস বিলম্বিত ‘৩-৪ আগস্ট ভারতের দালালদের সঙ্গে বৈঠকের অভিযোগ’, যা বললেন আসিফ নজরুল কুয়ালালামপুরে ১১ বাংলাদেশিসহ আটক ৩২ অভিবাসী ইতালি নেদারল্যান্ডস কানাডায় পা রাখলেই গ্রেফতার নেতানিয়াহু মালয়েশিয়ায় নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারী উদ্ধার দুবাইয়ের গ্লোবাল ভিলেজে কেবল নামে আছে বাংলাদেশ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা থেকে মেজর হাফিজের অব্যাহতি মহাখালীতে শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেলে রক্তাক্ত ট্রেনযাত্রী

কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ৬ লেখক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

অভিবাসন ডেস্ক :: দেশের ৮৯ বছরের প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রবর্তিত কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কারের জন্যে ৬ বিশিষ্ট লেখককে মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন রাগিব হোসেন চৌধুরী (দশম কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯), আবদুল হামিদ মানিক (একাদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২০), আমেনা আফতাব (দ্বাদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২২), মুকুল চৌধুরী (ত্রয়োদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২১), মীর লিয়াকত আলী (চতুর্দশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩) এবং শাকুর মজিদ (পঞ্চদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪)।

মুসলিম সাহিত্য সংসদ ২০০১ সাল থেকে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে আসছে। ২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার কথাশিল্পী অধ্যাপক শাহেদ আলীকে প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে ২০০২ সালে সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল ইসলাম, ২০০৪ সালে গবেষক অধ্যাপক আসাদ্দার আলী, ২০০৬ সালে গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল, ২০০৮ সালে গবেষক ড. গোলাম কাদির, গবেষক দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ২০১০ সালে শিক্ষাবিদ-গবেষক প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ, ২০১৩ সালে সাংবাদিক-বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী, ২০১৬ সালে কবি মুফাজ্জল করিম এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে কবি নৃপেন্দ্র লাল দাসকে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে ২০২৪ পর্যন্ত কাউকে উক্ত পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। পুরস্কার প্রদানের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৬ জন লেখককে সার্বিক সাহিত্যকর্ম বিবেচনা করে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার এই প্রতিষ্ঠানের মুখপত্র আল ইসলাহে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয় এবং ১৯৪৭ সালেই বাংলা ভাষার পক্ষে ৩টি সভার আয়োজন করা হয়। এরমধ্যে সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভাটি উর্দুর সমর্থকরা পণ্ড করে দেয়। সাহিত্য সংসদ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘নজরুল সাহিত্য সম্মেলন’ আয়োজনসহ নজরুল চর্চায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাহিত্য আসর আয়োজন, নিয়মিতভাবে সাহিত্য সাময়িকী আল ইসলাহ প্রকাশনা করছে। সাহিত্য সংসদের অর্ধ লক্ষাধিক প্রাচীন গ্রন্থ সমৃদ্ধ পাঠাগার এবং প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আইটেম নিয়ে একটি জাদুঘর রয়েছে।

ট্যাগস :

জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ফ্রি মেডিক্যাল সেবা বংশালে অনুষ্ঠিত

কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ৬ লেখক

আপডেট সময় ০৩:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

অভিবাসন ডেস্ক :: দেশের ৮৯ বছরের প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রবর্তিত কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কারের জন্যে ৬ বিশিষ্ট লেখককে মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন রাগিব হোসেন চৌধুরী (দশম কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯), আবদুল হামিদ মানিক (একাদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২০), আমেনা আফতাব (দ্বাদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২২), মুকুল চৌধুরী (ত্রয়োদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২১), মীর লিয়াকত আলী (চতুর্দশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩) এবং শাকুর মজিদ (পঞ্চদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪)।

মুসলিম সাহিত্য সংসদ ২০০১ সাল থেকে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে আসছে। ২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার কথাশিল্পী অধ্যাপক শাহেদ আলীকে প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে ২০০২ সালে সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল ইসলাম, ২০০৪ সালে গবেষক অধ্যাপক আসাদ্দার আলী, ২০০৬ সালে গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল, ২০০৮ সালে গবেষক ড. গোলাম কাদির, গবেষক দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ২০১০ সালে শিক্ষাবিদ-গবেষক প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ, ২০১৩ সালে সাংবাদিক-বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী, ২০১৬ সালে কবি মুফাজ্জল করিম এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে কবি নৃপেন্দ্র লাল দাসকে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে ২০২৪ পর্যন্ত কাউকে উক্ত পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। পুরস্কার প্রদানের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৬ জন লেখককে সার্বিক সাহিত্যকর্ম বিবেচনা করে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার এই প্রতিষ্ঠানের মুখপত্র আল ইসলাহে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয় এবং ১৯৪৭ সালেই বাংলা ভাষার পক্ষে ৩টি সভার আয়োজন করা হয়। এরমধ্যে সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভাটি উর্দুর সমর্থকরা পণ্ড করে দেয়। সাহিত্য সংসদ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘নজরুল সাহিত্য সম্মেলন’ আয়োজনসহ নজরুল চর্চায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাহিত্য আসর আয়োজন, নিয়মিতভাবে সাহিত্য সাময়িকী আল ইসলাহ প্রকাশনা করছে। সাহিত্য সংসদের অর্ধ লক্ষাধিক প্রাচীন গ্রন্থ সমৃদ্ধ পাঠাগার এবং প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আইটেম নিয়ে একটি জাদুঘর রয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464