অভিবাসন ডেস্ক :: সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশ কয়েকটি নদীর পানি সতর্কসীমা অতিক্রম করতে পারে, ফলে নিম্নাঞ্চলগুলোতে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার উদয় রায়হান গণমাধ্যমে জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে টানা বৃষ্টি ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নদ-নদীগুলোর পানি ক্রমাগত বাড়ছে। এতে করে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রাম জেলাগুলোতে নতুন করে বন্যা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘টানা বৃষ্টি, নদীর পানি বৃদ্ধি এবং নিম্নচাপজনিত জলোচ্ছ্বাসের কারণে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় সাময়িক বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, চলতি জুলাই মাসের ১০ তারিখে ফেনী জেলার একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বহু এলাকা প্লাবিত হয়। শহরেও পানি ঢুকে পড়ে, যার ফলে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এবার ফের সে ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে শনিবার (২৬ জুলাই) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, দেশের বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে দক্ষিণ-পূর্ব বা পূর্ব দিক থেকে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে এই ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, আবহাওয়া অফিসের আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার (২৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশেই বজ্রসহ বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের প্রবণতা চলতি সপ্তাহজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে। তাই নদীবন্দর ও উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।