পরীক্ষামূলক প্রকাশনা | ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রুনাইয়ে মিথ্যা মামলা করায় বাংলাদেশির কারাদণ্ড

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

অভিবাসন ডেস্ক :: ব্রুনাইয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপরাধে শাহ আলম (৩৭) নামের এক বাংলাদেশি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সোমবার (৭ অক্টোবর) দেশটির একটি আদালত তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

অপরাধ স্বীকার করায় সোমবার ম্যাজিস্ট্রেট হাজাহ নরমাজদিনা বিনতি হাজি মোহাম্মদ মাসকুব এই সাজা ঘোষণা করেন। তবে মজিস্ট্রেট জানান, শাহ আলমকে যে সময় রিমান্ডে রাখা হয়েছিল তা বিবেচনা করে, তার শাস্তি এরমধ্যেই শেষ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

আদালতের প্রসিকিউটিং অফিসার আতিকাহ হুসাইনির তথ্য অনুযায়ী, আসামি শাহ আলম একটি প্রতিষ্ঠানের একজন সহকারী প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তিনি বন্দর সেরি বেগাওয়ান থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজহারে তাকে তিনজন পুরুষ, দুজন বাংলাদেশি এবং একজন ব্রুনাইয়ের নাগরিক লাঞ্ছিত করেছে এবং তার কাছ থেকে ৩ হাজার ৬০০ ডলার ডাকাতি করা হয় বলে উল্লেখ করেন।

আলমের প্রাথমিক জবানবন্দি অনুযায়ী, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইমিগ্রেশন অফিসার বলে দাবি করা তিন ব্যক্তি তার বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। এরপর তিনি তার নিয়োগকর্তার সাথে কথা বলে দরজা খুলে দেন এবং সেই সময় সেই ব্যক্তিরা তার বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করে।

এ সময় তাদের মধ্যে একজন জোর করে তার ওয়ালেট নিয়ে নেয় এবং আরেকজন কাঠের লাঠি নিয়ে তাকে আক্রমণ করে। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, ব্রুনাইয়ান ব্যক্তিটি আক্রমণের সময় তার ওয়ালেট থেকে ৩ হাজার ডলার ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

ব্রুনাই রয়্যাল পুলিশ ফোর্স এই বিষয়টি তদন্ত করে কথিত সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করে এবং পরে দেখতে পায় এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

ট্যাগস :

কুয়ালালামপুরে ১১ বাংলাদেশিসহ আটক ৩২ অভিবাসী

ব্রুনাইয়ে মিথ্যা মামলা করায় বাংলাদেশির কারাদণ্ড

আপডেট সময় ১২:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

অভিবাসন ডেস্ক :: ব্রুনাইয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপরাধে শাহ আলম (৩৭) নামের এক বাংলাদেশি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সোমবার (৭ অক্টোবর) দেশটির একটি আদালত তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

অপরাধ স্বীকার করায় সোমবার ম্যাজিস্ট্রেট হাজাহ নরমাজদিনা বিনতি হাজি মোহাম্মদ মাসকুব এই সাজা ঘোষণা করেন। তবে মজিস্ট্রেট জানান, শাহ আলমকে যে সময় রিমান্ডে রাখা হয়েছিল তা বিবেচনা করে, তার শাস্তি এরমধ্যেই শেষ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

আদালতের প্রসিকিউটিং অফিসার আতিকাহ হুসাইনির তথ্য অনুযায়ী, আসামি শাহ আলম একটি প্রতিষ্ঠানের একজন সহকারী প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তিনি বন্দর সেরি বেগাওয়ান থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজহারে তাকে তিনজন পুরুষ, দুজন বাংলাদেশি এবং একজন ব্রুনাইয়ের নাগরিক লাঞ্ছিত করেছে এবং তার কাছ থেকে ৩ হাজার ৬০০ ডলার ডাকাতি করা হয় বলে উল্লেখ করেন।

আলমের প্রাথমিক জবানবন্দি অনুযায়ী, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইমিগ্রেশন অফিসার বলে দাবি করা তিন ব্যক্তি তার বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। এরপর তিনি তার নিয়োগকর্তার সাথে কথা বলে দরজা খুলে দেন এবং সেই সময় সেই ব্যক্তিরা তার বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করে।

এ সময় তাদের মধ্যে একজন জোর করে তার ওয়ালেট নিয়ে নেয় এবং আরেকজন কাঠের লাঠি নিয়ে তাকে আক্রমণ করে। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, ব্রুনাইয়ান ব্যক্তিটি আক্রমণের সময় তার ওয়ালেট থেকে ৩ হাজার ডলার ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

ব্রুনাই রয়্যাল পুলিশ ফোর্স এই বিষয়টি তদন্ত করে কথিত সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করে এবং পরে দেখতে পায় এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464