ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবীতে ওসমানীনগরে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ মালয়েশিয়ার ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৭৮৯৬ অভিবাসী, বাংলাদেশি ১১৩৬ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ৮ দফা অঙ্গীকারনামা সাদা পাথর বনাব কালো প্রশাসন বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার আনোয়ার ইব্রাহিমের লন্ডন থেকে প্রকাশিত ‘বিদেশি’ গানে ছেঁড়া জাতীয় পতাকা: আইনগত দিক, নৈতিক প্রশ্ন ও সচেতনতার প্রয়োজন প্যারিসে ফ্রান্স দর্পণের ১০ বছর পূর্তি ও কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রথমবারের মতো অ-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ সৌদি আরবে এক সপ্তাহে গ্রেফতার ২২ হাজার বিদেশি কিশোর রবিউলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বুলবুলকে প্রধান আসামী করে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের

২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

অভিবাসন ডেস্ক :: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এর আগে সোমবার সংস্থাটির বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী তা ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এরও আগে ১৫ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার (গ্রস) এবং ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬ অনুযায়ী)। ২৭ মে পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম৬ অনুযায়ী ২০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুন মাসে দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

এরপর ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়নে এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ তা পৌঁছায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। ওই বছরের অক্টোবরে তা প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করে। এমনকি কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছয়।

তবে ২০২২ সালের পর থেকে ডলার সংকট, আমদানি ব্যয় ও অর্থনৈতিক চাপে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেতে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ বর্তমানে সেই সীমার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির জন্য সতর্ক সংকেত হলেও সাম্প্রতিক উত্থান স্বস্তিদায়ক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবীতে ওসমানীনগরে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ

২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

আপডেট সময় ১১:১৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

অভিবাসন ডেস্ক :: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এর আগে সোমবার সংস্থাটির বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী তা ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এরও আগে ১৫ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার (গ্রস) এবং ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬ অনুযায়ী)। ২৭ মে পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম৬ অনুযায়ী ২০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুন মাসে দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

এরপর ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়নে এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ তা পৌঁছায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। ওই বছরের অক্টোবরে তা প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করে। এমনকি কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছয়।

তবে ২০২২ সালের পর থেকে ডলার সংকট, আমদানি ব্যয় ও অর্থনৈতিক চাপে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেতে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ বর্তমানে সেই সীমার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির জন্য সতর্ক সংকেত হলেও সাম্প্রতিক উত্থান স্বস্তিদায়ক।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471