ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারে থেকে কতিপয় উপদেষ্টা নতুন দল গঠনের কৌশল নিচ্ছেন: ফখরুল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

অভিবাসন ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থেকে কতিপয় উপদেষ্টা নতুন দল গঠনের কৌশল নিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেবিআই) মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকার চার মহানগরে ছাত্রদলের সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, তারা চেষ্টা করছেন অতিদ্রুত কিছু কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার। কিন্তু এর মধ্যেই মানুষের মধ্যে কতগুলো সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সন্দেহটা হচ্ছে যে, আদৌ নির্বাচনের ব্যাপারে এরা আন্তরিক কি না। গত মঙ্গলবার আপনারা দেখেছেন যে, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেছেন-ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাহলে তারা অংশ নিতে পারবে। এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা এখন নিজেদের স্বার্থে ওই ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়।

নতুন যেকোনো রাজনৈতিক দলকে বিএনপি স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রসংগঠন ইতিমধ্যে করেছেন, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখনই দল তৈরি করবেন, স্বাগত জানাব। তার অর্থ এই নয় যে আপনারা সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আপনারা দল গঠন করবেন। সেটা কখনোই মেনে নেয়া হবে না, জনগণ মেনে নেবে না। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সরকার প্রধানকে বলতে চাই, আপনি অবিলম্বে এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন। তা না হলে জনগনের যে আস্থা আপনাদের ওপরে আছে, সেই আস্থাও থাকবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বলেছিলাম যদি এই সরকার নিরপেক্ষতা হারায় তাহলে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। কেনো বলেছিলাম তা এখন প্রমাণ হচ্ছে। তখন একজন (উপদেষ্টা) বলেছিলেন, আমি একটি এক-এগারোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা এক-এগারোর ভুক্তভোগী, এক-এগারো যারা সৃষ্টি করেছিলো তারা টিকতে পারেনি জনগণের কাছে। আবারো হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, যদি আবার কেউ সেই এক-এগারোর কথা চিন্তা করেন, গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে আবার এক দলীয় শাসন ফ্যাসিস্ট সরকারের দিকে যেতে চান, তাহলে কখনোই জনগণ তা মেনে নেবে না।

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের জ্ঞান চর্চার ওপর গুরত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের শুধুমাত্র আন্দোলন, শুধুমাত্র সংগঠন এসব করলেই চলবে না। আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য অবশ্যই জ্ঞানচর্চা করতে হবে। জ্ঞানচর্চাই হবে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে মূল কেন্দ্র। তা না হলে আমরা এগুতে পারব না।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখন একটা ক্রান্তিকালের লড়াইয়ে এসে পৌঁছেছি। এই লড়াইয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ধৈর্য, টলারেন্স এবং মেধার চর্চা করা। আর সাইবারওয়্যার, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোমাদেরকে সক্রিয় হতে হবে। এটা তোমাদের দায়িত্ব। তোমরা মোবাইল সেটটা ভালো বুঝ, ওখানে লড়াইটা চালাও। ওই জায়গায় যদি তোমরা লড়াই করতে পারো তাহলে কেউ তোমাদের বিজয় ঠেকাতে পারবে না।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের মোস্তফা জামান, ছাত্রদলের পূর্বের সভাপতি সোহাগ ভুঁইয়া, উত্তরের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি শামীম মাহমুদ, পশ্চিমের সভাপতি রবির খান প্রমুখ।

ট্যাগস :

সরকারে থেকে কতিপয় উপদেষ্টা নতুন দল গঠনের কৌশল নিচ্ছেন: ফখরুল

আপডেট সময় ০৭:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অভিবাসন ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থেকে কতিপয় উপদেষ্টা নতুন দল গঠনের কৌশল নিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেবিআই) মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকার চার মহানগরে ছাত্রদলের সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, তারা চেষ্টা করছেন অতিদ্রুত কিছু কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার। কিন্তু এর মধ্যেই মানুষের মধ্যে কতগুলো সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সন্দেহটা হচ্ছে যে, আদৌ নির্বাচনের ব্যাপারে এরা আন্তরিক কি না। গত মঙ্গলবার আপনারা দেখেছেন যে, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেছেন-ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাহলে তারা অংশ নিতে পারবে। এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা এখন নিজেদের স্বার্থে ওই ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়।

নতুন যেকোনো রাজনৈতিক দলকে বিএনপি স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রসংগঠন ইতিমধ্যে করেছেন, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখনই দল তৈরি করবেন, স্বাগত জানাব। তার অর্থ এই নয় যে আপনারা সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আপনারা দল গঠন করবেন। সেটা কখনোই মেনে নেয়া হবে না, জনগণ মেনে নেবে না। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সরকার প্রধানকে বলতে চাই, আপনি অবিলম্বে এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন। তা না হলে জনগনের যে আস্থা আপনাদের ওপরে আছে, সেই আস্থাও থাকবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বলেছিলাম যদি এই সরকার নিরপেক্ষতা হারায় তাহলে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। কেনো বলেছিলাম তা এখন প্রমাণ হচ্ছে। তখন একজন (উপদেষ্টা) বলেছিলেন, আমি একটি এক-এগারোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা এক-এগারোর ভুক্তভোগী, এক-এগারো যারা সৃষ্টি করেছিলো তারা টিকতে পারেনি জনগণের কাছে। আবারো হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, যদি আবার কেউ সেই এক-এগারোর কথা চিন্তা করেন, গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে আবার এক দলীয় শাসন ফ্যাসিস্ট সরকারের দিকে যেতে চান, তাহলে কখনোই জনগণ তা মেনে নেবে না।

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের জ্ঞান চর্চার ওপর গুরত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের শুধুমাত্র আন্দোলন, শুধুমাত্র সংগঠন এসব করলেই চলবে না। আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য অবশ্যই জ্ঞানচর্চা করতে হবে। জ্ঞানচর্চাই হবে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে মূল কেন্দ্র। তা না হলে আমরা এগুতে পারব না।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখন একটা ক্রান্তিকালের লড়াইয়ে এসে পৌঁছেছি। এই লড়াইয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ধৈর্য, টলারেন্স এবং মেধার চর্চা করা। আর সাইবারওয়্যার, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোমাদেরকে সক্রিয় হতে হবে। এটা তোমাদের দায়িত্ব। তোমরা মোবাইল সেটটা ভালো বুঝ, ওখানে লড়াইটা চালাও। ওই জায়গায় যদি তোমরা লড়াই করতে পারো তাহলে কেউ তোমাদের বিজয় ঠেকাতে পারবে না।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের মোস্তফা জামান, ছাত্রদলের পূর্বের সভাপতি সোহাগ ভুঁইয়া, উত্তরের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি শামীম মাহমুদ, পশ্চিমের সভাপতি রবির খান প্রমুখ।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464