ঢাকা ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মব সৃষ্টি করে পুলিশ সদস্যকে পেটালেন রিকশাচালকরা একজন প্রাথমিক শিক্ষকের স্বরূপ : বাস্তবতা এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আবুধাবিতে লটারিতে ২০ মিলিয়ন দিরহাম জিতলেন বাংলাদেশি হারুন প্যারিসে জাতীয়তাবাদী ঐক্য ফোরাম ফ্রান্স, বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার কর্মী সভা সম্পন্ন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব: ২০২৬ নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক করার একটি পথ এবার জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল আফ্রিকার আরেক দেশ বাবার রাজকন্যা আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সৈয়দ কামরুল হাসান ও গোলাম শফিক খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতা নিয়ে যা বলছে সেনাবাহিনী নবীগঞ্জ-বাহুবলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে ঢাকায় মানববন্ধন

আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সৈয়দ কামরুল হাসান ও গোলাম শফিক

অভিবাসন ডেস্ক :: আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন, কিশোরগঞ্জ,এর উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫ প্রদান করা হয়েছে। এবার পুরস্কার পেলেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ কামরুল হাসান ও লেখক, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার গোলাম শফিক।

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, বিকাল ৫টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেনদিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তন, বাংলামোটর, ঢাকায় এই পুরস্কার বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত দুইজন লেখককে পুরস্কারের নগদ অর্থমূল্য ২৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও শংসাবচন তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই গত বছরের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের উপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পুরস্কার প্রদান কমিটির আহ্বায়ক, লেখক ও সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীর, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ , কবি ও কারুকণ্ঠ- সম্পাদক উপল হাসান এবং আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন এর সভাপতি নায়লা ইয়াসমিন।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আশাবাদ একটি মোমবাতির মতো। একটা মোমবাতি থাকলেই হয়। একটি মোমবাতি দিয়ে অনেকগুলো মোমবাতিতে আলোকপ্রজ্জ্বলন করা যায়। যার হাতে আশাবাদের মোমবাতি আছে তার পক্ষে পুরো দেশকে জাগিয়ে তোলা সম্ভব। শিক্ষা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সংস্কৃতির শিক্ষা আছে, শিক্ষার সংস্কৃতি আছে- এই দুটো মিলে গেলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ইট, বালু, সিমেন্ট আর টাকা এখন মানুষ এই চারটি বিষয়কে ভালোবাসে। এই সময়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। লক্ষ্যটাকে বড় করতে হবে। দুঃসাহসিক কাজ করতে হবে। আমাদের সাহিত্যধর্মী কাজ দরকার, সংস্কৃতিধর্মী কাজ দরকার। না হয় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে।

পুরস্কার প্রদান কমিটির আহ্বায়ক লেখক ও সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, এই পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্য হচ্ছে- কিশোরগঞ্জ জেলার অধিবাসী, সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত প্রাণ কবি, লেখক, গবেষকবৃন্দকে সম্মানীত করা ,উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেয়া। আমাদের প্রত্যাশা, এই পুরস্কার তাঁদের সাহিত্য চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন এর সভাপতি নায়লা ইয়াসমিন বলেন, পুরস্কার দেয়া সহজ কাজ, কিন্তু পুরস্কারের জন্য কবি, লেখকদের নির্বাচন করা যে অত্যন্ত কঠিন তা মূল্যায়ন কার্য পরিচালনা করতে গিয়ে টের পাওয়া গিয়েছে। তথাপি আমরা চেষ্টা করেছি যোগ্য দুইজনকে নির্বাচন করতে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কবি ও সম্পাদক শাহিন লতিফ, কবি সদরুল উলা, সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, লেখক গবেষক মু আ লতিফ, শিশুসাহিত্যিক মাহফুজুর রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল আব. এম সানাউল হক।

লেখক গবেষক মার্জিয়া লিপির সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান শেষে গান পরিবেশন করেন সর্বপ্রাণ বোধের শিল্পী ও কবি কফিল আহমেদ। অনুষ্ঠানে শংসাবচন পাঠ করেন মার্জিয়া লিপি ও অর্চনা সাহা।

কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যাক্তিত্ব আবু খালেদ পাঠান এর নামে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। উল্লেখ্য, গতবছর এই পুরস্কার পেয়েছেন বিশিষ্ট কবি ও সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদ এবং কবি ও প্রাবন্ধিক আফরোজা সোমা।

ট্যাগস :

মব সৃষ্টি করে পুলিশ সদস্যকে পেটালেন রিকশাচালকরা

আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সৈয়দ কামরুল হাসান ও গোলাম শফিক

আপডেট সময় ০৫:১৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অভিবাসন ডেস্ক :: আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন, কিশোরগঞ্জ,এর উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫ প্রদান করা হয়েছে। এবার পুরস্কার পেলেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ কামরুল হাসান ও লেখক, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার গোলাম শফিক।

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, বিকাল ৫টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেনদিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তন, বাংলামোটর, ঢাকায় এই পুরস্কার বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত দুইজন লেখককে পুরস্কারের নগদ অর্থমূল্য ২৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও শংসাবচন তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই গত বছরের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের উপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পুরস্কার প্রদান কমিটির আহ্বায়ক, লেখক ও সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীর, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ , কবি ও কারুকণ্ঠ- সম্পাদক উপল হাসান এবং আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন এর সভাপতি নায়লা ইয়াসমিন।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আশাবাদ একটি মোমবাতির মতো। একটা মোমবাতি থাকলেই হয়। একটি মোমবাতি দিয়ে অনেকগুলো মোমবাতিতে আলোকপ্রজ্জ্বলন করা যায়। যার হাতে আশাবাদের মোমবাতি আছে তার পক্ষে পুরো দেশকে জাগিয়ে তোলা সম্ভব। শিক্ষা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সংস্কৃতির শিক্ষা আছে, শিক্ষার সংস্কৃতি আছে- এই দুটো মিলে গেলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ইট, বালু, সিমেন্ট আর টাকা এখন মানুষ এই চারটি বিষয়কে ভালোবাসে। এই সময়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। লক্ষ্যটাকে বড় করতে হবে। দুঃসাহসিক কাজ করতে হবে। আমাদের সাহিত্যধর্মী কাজ দরকার, সংস্কৃতিধর্মী কাজ দরকার। না হয় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে।

পুরস্কার প্রদান কমিটির আহ্বায়ক লেখক ও সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, এই পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্য হচ্ছে- কিশোরগঞ্জ জেলার অধিবাসী, সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত প্রাণ কবি, লেখক, গবেষকবৃন্দকে সম্মানীত করা ,উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেয়া। আমাদের প্রত্যাশা, এই পুরস্কার তাঁদের সাহিত্য চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন এর সভাপতি নায়লা ইয়াসমিন বলেন, পুরস্কার দেয়া সহজ কাজ, কিন্তু পুরস্কারের জন্য কবি, লেখকদের নির্বাচন করা যে অত্যন্ত কঠিন তা মূল্যায়ন কার্য পরিচালনা করতে গিয়ে টের পাওয়া গিয়েছে। তথাপি আমরা চেষ্টা করেছি যোগ্য দুইজনকে নির্বাচন করতে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কবি ও সম্পাদক শাহিন লতিফ, কবি সদরুল উলা, সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, লেখক গবেষক মু আ লতিফ, শিশুসাহিত্যিক মাহফুজুর রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল আব. এম সানাউল হক।

লেখক গবেষক মার্জিয়া লিপির সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান শেষে গান পরিবেশন করেন সর্বপ্রাণ বোধের শিল্পী ও কবি কফিল আহমেদ। অনুষ্ঠানে শংসাবচন পাঠ করেন মার্জিয়া লিপি ও অর্চনা সাহা।

কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যাক্তিত্ব আবু খালেদ পাঠান এর নামে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। উল্লেখ্য, গতবছর এই পুরস্কার পেয়েছেন বিশিষ্ট কবি ও সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদ এবং কবি ও প্রাবন্ধিক আফরোজা সোমা।