ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভয়াল ২৯শে এপ্রিল ১৯৯১ অপারেশন সি এঞ্জেলে কর্নেল (অবঃ) মোহাম্মদ আব্দুস সালাম ইউরোপে ‘শেনজেন ইনফরমেশন সিস্টেম’ জটিলতায় বিপাকে বাংলাদেশিরা : সংকট উত্তরণে আয়েবা’র উদ্যোগ সিলেট থেকে প্রথম বারের মতো শুরু হলো কার্গো ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা কবি দাউদ হায়দারের নির্বাসিত জীবনের চিরমুক্তি সিলেটে কার্গো ফ্লাইটে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার গুজরাটে ১ হাজার বাংলাদেশি গ্রেপ্তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকদের বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন দুই কাশ্মীরি কন্যা গণপরিবহণে হয়রানির শিকার ৮৭ শতাংশ নারী উইশ ফাউন্ডেশনের নাসিমা ইসলামের ঝুলিতে টাওয়ার হ্যামলেটস সিভিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত: প্রধান উপদেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সানডে টাইমস

অনলাইন ডেস্ক : লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত এবং টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের সময় হওয়া লুটপাট থেকে তার সুবিধা পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে বিচারের জন্য দেশে ফেরত পাঠানো উচিত বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এ নিয়ে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ টিউলিপকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের কয়েকজন টিউলিপের বিনামূল্যের ফ্ল্যাট পাওয়া নিয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলেতে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে কেমি ব্যাডেনোচ লেখেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার জন্য কেয়ার স্টারমারের জন্য এটি একটি সুযোগ।’ তিনি আরও লিখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (স্টারমার) তার বন্ধুকে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। অথচ তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।’

টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।

উল্লেখ্য, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তদন্তে নাম এসেছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের। এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল।

অভিযোগ উঠেছে, রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে যখন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়, তখন এতে মধ্যস্থতা করেন টিউলিপ। যদিও ওই সময় তিনি ব্রিটেনের কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না। টিউলিপ সিদ্দিক ছাড়াও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও বোন শেখ রেহেনার বিরুদ্ধে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়াল ২৯শে এপ্রিল ১৯৯১ অপারেশন সি এঞ্জেলে কর্নেল (অবঃ) মোহাম্মদ আব্দুস সালাম

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৩:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক : লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত এবং টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের সময় হওয়া লুটপাট থেকে তার সুবিধা পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে বিচারের জন্য দেশে ফেরত পাঠানো উচিত বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এ নিয়ে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ টিউলিপকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের কয়েকজন টিউলিপের বিনামূল্যের ফ্ল্যাট পাওয়া নিয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলেতে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে কেমি ব্যাডেনোচ লেখেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার জন্য কেয়ার স্টারমারের জন্য এটি একটি সুযোগ।’ তিনি আরও লিখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (স্টারমার) তার বন্ধুকে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। অথচ তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।’

টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।

উল্লেখ্য, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তদন্তে নাম এসেছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের। এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল।

অভিযোগ উঠেছে, রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে যখন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়, তখন এতে মধ্যস্থতা করেন টিউলিপ। যদিও ওই সময় তিনি ব্রিটেনের কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না। টিউলিপ সিদ্দিক ছাড়াও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও বোন শেখ রেহেনার বিরুদ্ধে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/obhibason/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471