অভিবাসন ডেস্ক :: মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশের মাটিতে খেলতে নামার আগে নিরাপত্তাবিষয়ক কিছু নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন তিনি। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়ে বিষয়টি সরকারের কোর্টে ঠেলে দিয়েছিলেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টার কথায় সাকিবের দেশের মাটিতে খেলার বিষয়টি আরও অনিশ্চিত হয়ে গেল। গতকাল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই আছে। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।’
তাই আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা সাকিবের পূরণ হচ্ছে না। কানপুরে বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টই হতে যাচ্ছে তাঁর শেষ টেস্ট।
জনমনে ক্ষোভ প্রশমনের জন্য রাজনীতির জায়গা থেকে সাকিবকে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বানও জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, ‘সাকিব আল হাসানের পরিচয় দুটি, এটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। খেলোয়াড় হিসেবে একটা পরিচয়, অন্যটি হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয়। তিনি আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে এমপি নির্বাচন করেছিলেন। মানুষের মধ্যে এই দুটি নিয়েই মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাগুরা থেকে এমপি হওয়া সাকিবের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে নিহত এক গার্মেন্টকর্মী হত্যার মামলা হয়েছে। হত্যা মামলা থাকায় দেশে ফিরে খেলার সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও যখন দেশের বাইরে যাওয়ার দরকার হবে, তখন নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তা চান তিনি।
সাকিবের এই নিরাপত্তা নিয়ে আসিফ বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়কে যতটুকু নিরাপত্তা দেওয়া প্রয়োজন, দেশে এলে অবশ্যই আমরা সেটা দেব। তাঁর নামে যে হত্যা মামলা হয়েছে, এটার বিষয়ে আমরা বলেছি, আইন মন্ত্রণালয়ও বলেছে, সংশ্লিষ্টতা না থাকলে বাদ দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে জনগণের মধ্যে যদি ক্ষোভ থাকে, তাহলে…! মনে করেন, আমার নিরাপত্তায় পাঁচজন কনস্টেবল ও একজন গানম্যান থাকেন। আমার ওপর যদি দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ কোটি মানুষের ক্ষোভ থাকে, তাহলে এই পাঁচ-ছয়জন আমাকে কী নিরাপত্তা দেবে?’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণের কোনো ক্ষোভ থাকলে সেটা তো আমাকেই রিডিউস (কমানো) করতে হবে, কথা দিয়ে। আমার মনে হয়, তাঁকে তাঁর বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন, রাজনৈতিক জায়গা থেকে। এরই মধ্যে মাশরাফি বিন মুর্তজা কথা বলেছেন বিষয়টি নিয়ে।’